জুলাই বিপ্লবের পরবর্তী কয়েক মাসে আমি স্বপ্রণদিত হয়ে একটি ব্যক্তিগত সার্ভে করেছিলাম। আমার পরিচিত মহলের সর্ব স্তরের লোকজনকে আমি ৫টা স্পেসিফিক অপশনের মধ্যে থেকে একটি সম্ভাব্যতাকে অনুমান করতে বলেছিলাম আর তার রেকর্ড রাখছিলাম, এটা অনেকটা নিজের স্টাইলে জনমত যাচাই প্রচেষ্টা। আগেই বলে রাখি নিচের ফলাফলটি সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর ২০২৪ সালের, তাই তদপরবর্তী পরিস্থিতির পরিবর্তনে এই ফলাফল আর কার্যকরী থাকার কথা না। তবে আমার দুটা ভবিষ্যৎ অনুমান ইতোমধ্যেই বাস্তবায়িত হয়ে গেছে, তাই নিজের চিন্তাভাবনা গুলোর উপর কিছুটা আস্থা পাচ্ছি।
জনমত জরীপের প্রশ্নটি ছিল এরকম, জুলাই বিপ্লবের পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে যে নির্বাচন হবে তার ফলাফল কি হতে পারে বলে আপনি মনে করেন? A, B, C, D & E, এই পাচটির মধ্যে একটি বেছে বলেন। কেউ কেউ বলেছে, আমি চাই A হোক কিন্তু হবে C, তখন তাকে বলেছি আপনি যা হবে বলে ভাবছেন সেটা বলেন। তাদের উত্তর গুলো শুনে টালি করে নিচের ফলাফলটি পেয়েছিলাম, যা বর্তমানের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভিন্ন ফলাফল দিতেই পারে।
--------- সার্ভের সময়কাল ------ :: সেপ্টেম্বর – ডিসেম্বর ২০২৪ :: -----
A = একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসতে পারে। ৩৮%
B = দুই তৃতীয়াংশ জনসমর্থনে বিএনপির নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারে। ২৮%
C = ছাত্রদের একটি নতুন দল গঠিত হবে এবং তারা সরকার গঠন করতে পারে। ২০%
D = মুসলিম ধর্মীয় দলগুলোর মোর্চা গঠিত হবে ও তারা সরকার গঠন করতে পারে। ১০%
E = উপরের কোনটিই হবে বলে মনে হয় না, অন্য কিছু হতে পারে। ৪%
আমার তখনকার চিন্তা ভাবনাতে A to D এই ৪টি পরিণতিই কেবল সম্ভব হতে পারে বলে মনে হয়েছিল, তার পরও আমি E অপশনটা রেখেছিলাম, আউট অফ দ্যা বক্স কেউ যদি কিছু বলে। উপরের পাই-চার্টটিতে পাঁচটি অপশনের স্টেক প্রতিটি ভোট সংগ্রহের পর বদলে যাচ্ছিল, যা আমি উপভোগ করছিলাম । একটি সময় এই সার্ভে শেষ করি যখন একটি স্যাম্পল সাইজ পূর্ণ হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে আমার পরিচিত লোকজনের মতামতে অধিকাংশই সর্বদলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করেছে কিন্তু তাদের স্টেকও কিন্তু দুই তৃতীয়াংশ হয়নি, বরং বিএনপির অধিকতর জনসমর্থনে সরকার গঠন করতে পারার পক্ষে বহু জন মত দিয়েছেন, যা আমার জরীপে দ্বিতীয় বৃহত্তম স্টেক। কোটা আন্দোলনে ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে যে সকল ছাত্র ও সমন্বয়করা কাজ করেছেন তাদের যে একটি দল গঠন করতেই হবে তা আমি তখনই বুঝতে পেরেছিলাম, যা আজ সত্য হতে দেখা গেল। কিন্তু সেই C অপশনের স্টেক মাত্র ২০%, আর মুসলিম ধর্মীয় দলগুলোর মধ্যে যে একটা সমঝতা হতে পারে তাও কিন্তু আমি বুঝতে পেরেছিলাম তখনই, যা পরবর্তীতে সবাই হতে দেখেছেন। আমার জনমত জরীপে এই ডি অপশনের স্টেক মাত্র ১০%। তার মানে হলো C+D = ৩০% হয়, তার পরও তারা A ৩৮% অতিক্রম করতে পারেনি। দুই তৃতীয়াংশ মানে হলো অন্তত পক্ষে আপনাকে ৬৬.৬৬% এর ক্রান্তি বিন্দু অতিক্রম করতে হবে। আমার জরীপে দুই তৃতীয় সংখ্যা গরিষ্ঠ সেরকম কোন প্রতিফলন দেখতে পেলাম না। জরীপটির বটম লাইন তাই বলা যায়, বেশির ভাগ লোক একটি সর্বদলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন চাচ্ছেন কিংবা হবে বলে প্রত্যাশা করছেন। আমার মনে হচ্ছে পরিস্থিতিগত কারণে পূর্ণ নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন অনেকের প্রত্যাশা হলেও সেই প্রত্যাশা মনে হয় পূরণ হবার নয়।
মাঝে মাঝে অসুর উঠে আসে সভ্যতা বিনাশে, কিন্তু মেঘনাদ বধের মত তাকে বধ না করলে সভ্যতা টিকে না। দেশে যে অসুর উঠেছিল তার বধ হয়েছে, নতুন কোন অসুর উঠলে তারও বধ হবে একদিন না একদিন। একজন কামাল পাশার আমাদের এখন খুব দরকার বলে মনে হচ্ছে। কাজী নজরুলের কামাল পাশা কবিতাটা মনে পড়ে গেল “অসুর-পুরে শোর উঠেছে জোরসে সামাল সামাল ভাই। কামাল! তু নে কামাল কিয়া ভাই !” রাজনৈতিক বিষয়ে আমার যে কয়টা লেখা আছে ২০২৪ সালের শেষের দিকের কয়েকটাতে আমি বিগত সরকারের বৃহৎ প্রজেক্টগুলো সফলতার সাথে শেষ করে চালু করে দেওয়াতে অনুরক্ত হয়ে পরেছিলাম তার প্রতিফলন ঘটেছে। কিন্তু পিছন দিয়ে যে তারা গাঁঠ কাটছে আর পুকুর ডাকাতি করছে তা তাদের অপসারেনের পর জানতে পেরে বিশ্বয় বোধ করেছি ও বিরক্ত হয়েছি। ইসলামী শরিয়া ভিত্তিক ব্যাংক গুলোতে এস আলম গ্রুপ যে ডাকাতি করে গেছে তা কিন্তু সবাই দেখছিল, তখন আমার একটা লেখা “দেকি না কি করে” ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যঙ্গাত্মক উক্তি দিয়ে প্রকাশ করেছিলাম। সবার চোখের সামনে দিয়ে ওরা এদেশের খেটে খাওয়া মানুষ গুলোর টাকা পাচার করে নিয়ে গেল, তা তৎকালীন সরকার না দেখার ভান করে বসেছিল, এটা তো কোন ভাবেই সমর্থন করা যায় না। তেমনি শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির সময়ও বিগত সরকারের এক উপদেষ্টা জড়িত ছিল তা জানা সত্যেও তাকে কেন উপদেষ্টা করা হলো তা আমার বোধগম্য হতো না। কোন একটা বাসায় বহুদিন থাকার পর সেই বাসা বদল করলে বা আসবাব পত্র সরালে নিচ থেকে যে ময়লা আবর্জনা বের হয়ে আসে, বিগত সরকারের পতনের পর সেরকম জঘন্য সব ময়লা আবর্জনা বের হয়ে জনসমক্ষে চলে আসছে। তা থেকে বুঝা যায় এদেশে হা’ভাতের সংখ্যা এখনও কমে নাই, সুযোগ দিলেই যে কেউ গোগ্রাসে গিলতে থাকবে হয়তো আবারও।
Google মামা Wikipedia র বরাত দিয়ে বললেন চীনা দর্শনে ইন এবং ইয়াং (চীনা: 陰陽 yīnyáng, "অন্ধকার-উজ্জ্বল", "ঋণাত্মক-ধনাত্মক") এই কথা বোঝায়, যদিও দেখতে বিপরীত শক্তি সমূহ কিন্তু আসলে একটি অন্যটির পরিপূরক, সম্বন্ধিত এবং পরস্পর পরস্পরের ওপর নির্ভরশীলও বটে। ইয়িন এবং ইয়াং চীনা দর্শনের একটি জটিল সম্পর্কগত ধারণা যা হাজার হাজার বছর ধরে বিকশিত হয়েছে। ইয়ানইয়াং প্রসঙ্গে ব্রিটানিকা বলছে আরো বিস্তারিত, তাতে উল্লেখ আছে চিনের অতি প্রাচীন চিন্তাধারায়, দুটি পরিপূরক শক্তি যা জীবনের সমস্ত দিক এবং ঘটনা তৈরি করে। একটি বাড়ার সাথে সাথে অন্যটি হ্রাস পায় যার মাধ্যমে মহাবিশ্বের সকল প্রক্রিয়া এবং এর মধ্যে থাকা সমস্ত কিছুর বর্ণনা করা যায়। ”ইয়ান-ইয়াং” ধারণার উৎপত্তি অস্পষ্ট তবে খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে চীনে, এটি বিশ্ববিক্ষায় একটি সম্পূর্ণ চিন্তাধারার ভিত্তি তৈরি করেছিল (ইনইয়াং স্কুল), যার প্রধান প্রতিনিধি ছিলেন জু ইয়ান । সংক্ষেপে বলতে গেলে, ইয়িন এবং ইয়াং-এর অর্থ হল মহাবিশ্ব একটি মহাজাগতিক দ্বৈততা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, দুটি বিপরীত এবং পরিপূরক নীতি বা মহাজাগতিক শক্তির সেট যা দিয়ে প্রকৃতিকে ব্যাখ্যা করা যায়। প্রকৃতির সকল সূত্র কে এক সূত্রে আনার চেষ্টাটা মানে থিওরি অব এভ্রিথিং কেবল পদার্থবিদরাই করেছেন তা নয়, বরং এই দর্শনের কাজটি বহু আগেই শুরু হয়েছিল। তারই একটা প্রত্নতাত্ত্বিক উদাহরণ এই ইয়ান-ইয়াং। আইনস্টাইন আর হকিং সাহেব যার জন্য উঠে পরে লেগেছিলেন, সমাধান করতে না পেরে ফেলে রেখে চলে গেছেন, একটা গাণিতিক থিওরি অব এভ্রিথিং যা চীনারা খৃষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দতে অগাণিতিক ভাবেই পেয়ে গিয়েছিল। আমার কাছে এটা সুর-অসুরের ঘূর্ণায়মান বাস্তবতার প্রতীক। আমি এতদিন ভুল জানতাম, মনে করতাম এটা কনফুসিয়াস মতবাদ হবে হয়তো। ইয়ান-ইয়াং যে সম্পূরক শক্তিকে নির্দেশ করে তাও বুঝতাম না, ভাবতাম একটা ভালো ও অন্যটা মন্দের পর্যায়ক্রমিক উত্থান ও পতন, সনাতন কিংবা হিন্দু ধর্মে যেটাকে বলা হয় সৃষ্টি-প্রলয়-ধ্বংস কিংবা সমাজ তত্বে যেটা নেগেশন অব নেগেশন বলে সেরকম কিছু একটা। ১৯৯০ এর ডিসেম্বরে এরশাদ সরকারের পতনের পর এই ইয়ানইয়াং এর চক্র চলছিল দেশটাতে, বর্তমানে জুলাই বিপ্লব উত্তর সংগ্রাম রত বৈষম্য-বিরোধী ছাত্ররা তা বদলাতে চাচ্ছেন ও নতুন দল গঠন করেছেন যা ওই চক্রটাকে হয়তো ভেঙ্গে দিবে আশা করা যায়। প্রশ্ন হলো এই নতুন দল যার বয়স মাত্র কিছু দিন তারা কি বহু বছর ধরে রাজনীতি চর্চা করা বৃহৎ দলগুলোকে টপকে দেশটাতে সত্যি সত্যিই নতুন ধারা সৃষ্টি করতে পারবেন? একমাত্র সময়ই বলে দিবে তারা সফল হবে না কি বিফল হবে। আমার হিসেবে সফলতার সম্ভাবনাটা কম, তার পরও আশা করতে তো কোন দোষ নাই।
এ যাবত যা দেখে আসলাম এদেশেও ইং-ইয়ান চলে। একবার এ তো পরের বার ও, এই খেলা চলে। চলুক, এই ফাকে একদল মজা লুটে নেয়, খেলা চলতেই থাকে। তবে তৃতীয় একটা পক্ষ যারা এবার পিছন থেকে কল কাঠি নেড়েছে, তারা আর গোপন নাই, সবাই জানে, ওরা এবার ফসল তুলতে চাইবে, তবে বাঙ্গালী অত সোজা না, ফসল তুলতে পারতেও পারে কিন্তু হজম করতে পারবে বলে মনে হয় না। দুর থেকে মাছ শিকার করা যায় না, রাঘব বোয়াল রা সব হা করে আছে, পুরা গিলে ফেলবে।
আমাদের দেশের একটা অতীত আছে। উরে এসে জুরে বসা কোন সেন্টিমেন্ট সাময়িক কাজ করতে পারে কিন্তু দেশের আপামর জনসাধারণের মানুষিকতার ভাইবটা বুঝতে হবে। দেশের মানুষগুলোকে কাঠ-পাথর-লোহা-তামা-কয়লা বললে তো হবে না, এক মুজিব লোকান্তরে লক্ষ মুজিব ঘরে ঘরে, এক জিয়া লোকান্তরে লক্ষ জিয়া ঘরে ঘরে - এক এরশাদ লোকান্তরে কিন্তু কোথাও সে আর নাই, এক হাসিনা আত্মগোপনে কিন্তু সেও কোথাও নাই বর্তামানে। মুজিব আর জিয়া, মওলানা ভাসানী, শেরে এ বাংলা, এদের কে যে বা যারা অবজ্ঞা করেন, তারা এ মাটিতে বসবাসের অধিকার রাখে বলা যায় না।
বাঙ্গালীর বাঙ্গালীয়ানা এ দেশের মাটি আর নদীর সাথে ওতো প্রতো ভাবে জড়িত। তাই নৌকা কিংবা ধানের শীষ এই দুটাই টিকবে বাকিগুলো আশে পাশে থাকতে পারে কিন্তু মূল ধারায় কখনই আসতে পারে বলে মনে হয় না, এটা এ দেশের জন্য চিরন্তন সত্য বলেই মনে করা হতো। এখন পরিস্থিতি বদলেছে, কোথাকার পানি কোথায় গড়ায় তাই এখন দেখার বাকি।
সামনে একটা ত্রিমুখী কিংবা চতুর্মুখী সংঘর্ষ আনন্ন বলে মনে হচ্ছে, এটা আন্ত জাতিগত ক্ষমতার লড়াই যা উপর থেকে বুঝার কোন উপায় নাই। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, দেশটা একটা অস্থিতিশীলতা কিংবা অন্তর্বর্তী অবস্থায় থাকা অবস্থায় জনগণের মধ্যে তীব্র চঞ্চলতা। অর্থনৈতিক ফান্ডের স্থানান্তরেও সেই চঞ্চলতা আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। এটা মোটেও স্বাভাবিক বলে মনে হয় নাই আমার কাছে। চতুর্মুখী একটা প্রভাব বলয় সংঘাত আসন্ন বলে আমার মনে হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলার অবনতির পাশাপাশি অর্থনৈতিক বৈকল্যর সম্ভাবনা আছে বলে ভয় হয়। সতর্কতার সাথে পরিস্থিতি বিচার করে যার যার মত নিজেদের সংরক্ষনের বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে।
আমি বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার পুনর্মিলনের স্বপ্ন দেখি, যা এখন অসম্ভব। কিন্তু দুই বাংলাকে একত্রিত করে একটি একক রাষ্ট্র গঠন করা যেতেই পারে। আমরা এর জন্য চেষ্টা করতে পারি বা করা উচিত বলে মনে করি, কিন্তু আমি দেখতে পাচ্ছি তাও সম্ভব নয়। হয়তো কখন সম্ভবও হবেও না। যে কেউ আমার এই মতের সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারেন, অনেক মানুষের অনেক মন, ভালোবাসাই হলো সকল পরস্পরবিরোধী ধারণা ও সংঘাত এড়ানোর একমাত্র উপায়।
যা হোক, উপরের সার্ভেটা আমি পুন পরিচালনা করবো এপ্রিল থেকে জুলাই -2025 পর্যন্ত, তাই আপনার মতামত এখনকার পরিস্থিতিতে ওই পাঁচটা অপশনের কোনটা তা আমাকে জানায়ে রাখতে পারেন, ফলাফলে তো কারো নাম প্রকাশ পাবে না, তাই নির্ভয়ে ও গোপনে জানায়ে রাখতে পারেন। ওটার ফলাফলও আমি এই লেখায় পরবর্তীতে সংযোজিত করে রাখবো।
বিঃ দ্রঃ আমার লেখাগুলো আমার ব্যক্তিগত অভিমত, কারো ভিন্ন মত থাকতেই পারে, তার মতের প্রতি আমার কোন হিংসা কিংবা বিদ্বেষ নাই, সে তার মত করে ভাবতেই পারে, আমি তার চিন্তা ভাবনার প্রতি কোন বিরূপ মনোভাব পোষণ করি না, পরমত সহিষ্ণুতা আমার একটা প্রায়োগিক গুন বলে আমি মনে করি। পর মত সহিষ্ণুতা, যা একটি চর্চাও। অহিংসাও একটি চর্চা, যাকে ভারতীয়রা গান্ধীগিড়ি বলে থাকে, বলিউড হাস্যরসাত্মক মুভি “মুন্না ভাই এমবিবিএস”এ কিন্তু এই গান্ধীগিড়ি নিয়ে রস করে তার উল্লেখ করা হয়েছে। যে কোন ধর্মীয় প্রথাও কিন্তু এক প্রকার চর্চা, ধর্মীয় চর্চা, এর অতিরিক্তই মৌলবাদ নামে সচরাচর অভিহিত হয়।
সম্পাদনা ও উন্নয়ন ইতিহাসঃ ৫ জানুয়ারী২০২৫> ৫মার্চ২০২৫>
Realistic patriotic thoughts! I pray to the almighty for a new Bangladesh where every body will get what one deserves and will not get what one doesn’t deserve ❤️.
ReplyDeleteবাস্তবতা সবাই এক সাথে এক চোখ দিয়ে দেখে না, সবাই খন্ডিত বাস্তবতাটা দেখে, সংবাদ মাধ্যম তাতে হেল্প করে, মানে সবার দৃষ্টিটার সীমাবদ্ধতা দুর করতে হেল্প করে। সংবাদ মাধ্যম গুলোর মাধ্যমে আর বিভিন্ন মানুষ জনের সাথে আড্ডায় আমার হয়তো পুর বাস্তবতার অনেকটাই একসাথে দেখতে পাই, অনেকটা বার্ড আই ভিউর মত। ১৮ কোটি মতান্তরে ৪৩ কোটি জনগোষ্ঠীর সবাইকে খুশি ও শুখি করতে পারে এমন ব্যক্তি প্রকৃত অর্থে মহামানব। মানব প্রকৃতির কেউ যদি তাতে সফল হয়ও তবে সে মানবাকৃতির অন্য কিছু হবে হয়তো। এই রাজনৈতিক টানা-পোড়নটা আমার মনসতত্বে প্রচন্ড ঝড় তুলেছে, কোন কিছু ঠিক মত করতেই পারতেছিনা। চিন্তা ভাবনা থেকে শুরু করে প্রাত্যহিক কাজে সব গন্ডোগোল বেধে যাচ্ছে। আমার সন্তানদের আমি বিগত বছরে একটা কথা খুব গুরুত্ব দিয়ে শিখাইছি “অনেক মানুষের দেশে জন্মাইছো, এখানে কেউ সেধে দিবে না, কাইরা নিতে হবে” । দেশে এক দল আরেক দলকে সেধে কিছু দিবে না, এক দল আরেক দলের কাছ থেকে কেড়ে নিবে ক্ষমতা, এই সূত্রই এই আজকালকার রাজনৈতিক বাস্তবতাকে ব্যাখ্যা করতে পারে মনে হচ্ছে।
ReplyDelete