Monday, August 28, 2023

গঠনতন্ত্রঃ অফিসার আইটি ফোরাম-২০০৪

ধারা ১. সংগঠনের নাম
সংগঠনের নাম বাংলায় ‘অফিসার আইটি ফোরাম-২০০৪’ এবং ইংরেজিতে  OFFICER IT FORUM-2004’ লেখা হবে।

ধারা ২. সংগঠনের স্থায়ী কার্যালয় ও ঠিকানা
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় সংগঠনের স্থায়ী কার্যালয় স্থাপিত হবে। প্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে এর শাখা অফিস পরিচালিত হতে পারে।

ধারা ৩.(ক) সংগঠনের লোগো
সংগঠনের পরিচিতি বহনের জন্য একটি লোগো থাকবে এবং লোগোটি সংগঠনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য উপাত্তে ব্যবহার করা হবে।
ধারা ৩.(খ) সংগঠনের স্লোগান
সংগঠনের একটি স্লোগান থাকবে। “বন্ধুত্ব এক সাথে মোরা চিরদিনের” “ FRIENDSHIP TOGETHER WE FOREVER”  স্লোগানটি সংগঠনের সকল কর্মকর্তাদের সাথে বন্ধুত্ব, ভালোবাসা, সহমর্মিতা ও একাত্মতা প্রকাশ করবে।

ধারা ৪. সংগঠনের ধরণ
এটি একটি অরাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থিক প্রতিষ্ঠান হবে। সংগঠনটি সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত হবে। [নিচে ধারা ৯.(১) ও ৯.(২) দ্রষ্টব্য।]

ধারা ৫. সংগঠনের লক্ষ্য
কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সাথে পারষ্পরিক সু-সম্পর্ক স্থাপন ও দেশের কল্যাণে আর্ত মানবতার সেবায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করা।

ধারা ৬. উদ্দেশ্য
ক) সংগঠনের সকল সদস্য ও তাদের পরিবারের মধ্যে পারষ্পরিক সম্পর্ক সুসংহত করা।
খ) সংগঠনের পরিবারের যে কোন সদস্যদের বিপদে আপদ-কালীন সহযোগিতা করা।
গ) আর্ত মানবতার সেবায় অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করা ও যে কোন সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা।
ঘ) দেশ ও জাতি-মাতৃকার উন্নয়নে সমমনা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা।
ঙ) যে কোন আর্থ-অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করা।

ধারা ৭. সংগঠনের মূল্যবোধ
ক) রাজনীতি নিরপেক্ষ, ধর্মনিরপেক্ষ ও শুদ্ধ গণতন্ত্র চর্চা করা।
খ) সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে পারষ্পারিক শ্রদ্ধা ও ভাতৃত্ব বৃদ্ধির মাধ্যমে সম্পর্ক সুদৃঢ় করা।
খ) সততা, নিষ্ঠা ও গঠনমূলক বক্তব্য পেশ এবং সাংগঠনিক আচরণবিধি মেনে চলা।

ধারা ৮. প্রধান কার্যাবলী
ক) ৬নং ধারার সাথে সংগতি রেখে সকল কার্যক্রম পরিচালিত করা।
খ) বছরে ১(এক) বার দেশের অভ্যন্তরে/বিদেশে সংগঠনের সকল সদস্য ও পরিবারকে নিয়ে মিলন মেলার আয়োজন করা।
গ) প্রয়োজনে লাভজনক/আর্থিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা।

ধারা ৯. সংগঠনের সদস্যপদ
 

ধারা ৯. (১)  সংগঠনের সদস্য
ক) ২০০৪ সালে সোনালী ব্যাংকে কম্পিউটার অপারেটর (পরিবর্তিত পদ “অফিসার আইটি”) পদে যোগদানকৃত কর্মকর্তা/কর্মকর্তাবৃন্দ সংগঠনের সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন, তবে সদস্য হবার জন্য নির্ধারিত আবেদন পত্রে আবেদন করতে হবে।
খ) সদস্যগন সংগঠনের গঠনতন্ত্রের সকল ধারা ও কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তসমুহ মেনে চলবে অন্যথায় সদস্যপদ বিলুপ্তির জন্য সাধারণ পর্ষদে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা যাবে।

ধারা ৯. (২) সংগঠনের সদস্যবৃন্দের অধিকার
ক) সদস্যগণ সংগঠনের যেকোন কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করতে পারেবে।
খ) সদস্যগণ সংগঠনের কার্যনির্বাহী পর্ষদ গঠনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।
গ) সদস্যগণ সংগঠনের কার্যকরী পর্ষদ এর যেকোন পদে মনোনয়ন জমা দিতে পারবে এবং নির্বাচিত হয়ে সংগঠন পরিচালনা করতে পারবেন।

ধারা ১০. সাংগঠনিক কাঠামো
এই সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে ২টি পরিষদ থাকবে।
ক)   সাধারণ পর্ষদঃ সকল সদস্যদের সমন্বয়ে সাধারণ পরিষদ গঠিত হবে। 
খ) কার্যনির্বাহী পর্ষদঃ সাধারণ পর্ষদের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে থেকে নির্বাচিত বা মনোনীত করবে। সদস্য সংখ্যা হবে ১১ থেকে ১৫ জন (বেজোড় সংখ্যায় থাকতে হবে)। কার্যনির্বাহী পর্ষদের সদস্যগণ হবেন নিম্নরূপ

সভাপতি- ১ জন
সহঃ সভাপতি- ২ জন (২ জনের মধ্যে ১ জন মহিলা)
সাধারণ সম্পাদক- ১ জন
সহ সাধারণ সম্পাদক- ১ জন
অর্থ সম্পাদক- ১ জন
সাংগঠনিক সম্পাদক - ১ জন
প্রচার, প্রকাশনা ও যোগাযোগ সম্পাদক -১ জন
কার্যনির্বাহী সদস্য- ৩/৫/৭

মোট ১১ বা ১৩ বা ১৫ জন

ধারা  ১১. সাধারণ পর্ষদের দায়িত্ব ও কর্তব্য
সংগঠনের সকল সদস্যদের সমন্বয়ে সাধারণ পরিষদ গঠিত হবে। সাধারণ পর্ষদই হচ্ছে সংগঠনের এর মূল চালিকাশক্তি। তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করে কার্যনির্বাহী পর্ষদ গঠন করবে এবং গঠনতন্ত্রের সকল বিধি বিধান মেনে চলবে।
ক) সাধারণ পর্ষদ বছরে ১ বার ‘বার্ষিক সাধারণ সভা’য় মিলিত হবে।
খ) সাধারণ পর্ষদ ‘বার্ষিক সাধারণ সভা’য় বার্ষিক কার্যক্রম ও আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করবে।
গ) সাধারণ পর্ষদ দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে কার্যনির্বাহী পর্ষদ নির্বাচন করবে। |

ধারা ১২. সাধারণ পর্ষদের সদস্যবৃন্দের অধিকার, বাধ্যবাধকতা এবং সদস্য চ্যুতির কারণ
ক)    সাধারণ পর্ষদের সদস্যগণ সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত সকল প্রকার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে।
খ)     সাধারণ পর্ষদের সদস্যগণের ভোটদান, প্রস্তাব ও সমর্থন করার এবং কার্যনির্বাহী পর্ষদের সদস্য হওয়ার অধিকার থাকবে।
গ)     সাধারণ পর্ষদের সদস্যগণের সদস্যপদ হতে পদত্যাগ করার অধিকার থাকবে।
ঘ)     কার্যনির্বাহী পর্ষদ কর্তৃক গৃহীত যে কোন সিদ্ধান্ত সাধারণ পর্ষদের সদস্যগণ মেনে নিতে বা চলতে বাধ্য থাকবেন।
ঙ)     যে কোন সাধারণ পর্ষদের সদস্যের চারিত্রিক অবনতি ও মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটলে, গঠনতন্ত্রে বিধিবিধান লঙ্ঘন করলে এবং সংগঠনের সুনাম বা শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করলে কার্যনির্বাহী পরিষদের যে কোন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য থাকবে এমনকি তার সদস্যপদ বাতিলও হতে পারে। 

ধারা ১৩. কার্যনির্বাহী পর্ষদের দায়িত্ব ও কর্তব্য
দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে সদস্যগণের মধ্যে থেকে ৭ থেকে ১৫ সদস্যের সমন্বয়ে কার্যনির্বাহী পর্ষদ গঠিত হবে। কার্যনির্বাহী পর্ষদ তাদের সকল কাজের জন্য সাধারণ পর্ষদের নিকট দায়ী থাকবে। কার্যনির্বাহী পর্ষদ প্রতি ২ বছর পর দ্বি-বার্ষিক সভা/সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন।
ক) কার্যনির্বাহী পর্ষদ সংগঠনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও স্বার্থ রক্ষার্থে এবং উদ্দেশ্যের অভিপ্রায়সমুহ কার্যে পরিণত করবে।
খ) কার্যনির্বাহী পর্ষদ যে কোন কার্যক্রম ও অনুষ্ঠান পরিচালনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে এবং তা বাস্তবায়ন করবে।
গ) কার্যনির্বাহী পর্ষদ প্রয়োজনবোধে স্থায়ী অথবা অস্থায়ী উপ-পরিষদ গঠন করতে পারবে।
ঘ) প্রতিমাসে অন্ততঃ একবার কার্যনির্বাহী পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত করতে হবে।
ঙ) কার্যনির্বাহী পর্ষদের সভা সম্মুখ/ ভিডিও কনফারেন্সিং অথবা ইন্টারনেট যে কোন মাধ্যমে হতে পারে।
চ) কার্যনির্বাহী পর্ষদের কোন সদস্য সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া পর পর ৩ বার সভায় অনুপস্থিত থাকলে উক্ত সদস্যকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া অথবা যেকোন ব্যবস্থা গ্রহণ করার ক্ষমতা কার্যনির্বাহী পর্ষদের থাকবে। এক্ষেত্রে তাকে পরপর নূন্যতম তিনবার নোটিশ প্রদান করা হবে।
ছ) কার্যনির্বাহী পর্ষদের যে কোন সদস্য অথবা সংগঠনের যে কোন সাধারণ সদস্য কর্তৃক গঠনতন্ত্রের বিধিবিধান লঙ্ঘন অথবা অসদাচরণের অভিযোগ থাকলে অভিযুক্ত সদস্যের স্বপক্ষে দোষ খন্ডনের সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে কার্যনির্বাহী পরিষদ ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকার থাকবে।
জ) কার্যনির্বাহী পর্ষদ সম্মেলন ও বিশেষ সাধারণ সভার কর্মসূচি নির্ধারণ করবেন, পূর্ববর্তী বার্ষিক সাধারণ সভা হতে অনুষ্ঠানরত বার্ষিক সাধারণ সভার সময় পর্যন্ত সংগঠনের কার্যাবলীর এবং আর্থিক বিবরণ প্রস্তুত করে সম্মেলনে অথবা বিশেষ সাধারণ সভায় উপস্থাপন করবে।
ঝ) সংগঠনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় ও যথাযথভাবে সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে।
ঞ) সংগঠনের তহবিল গঠনে/সংগ্রহে প্রধান ভূমিকা পালন করবে।
ট) কার্যনির্বাহী পর্ষদ সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে বিভিন্ন পর্যায়ের লোকবল নিয়োগ, বদলী, অব্যাহতি, কার্যক্রম স্থগিত ও বরখাস্ত করতে পারবে।

ধারা ১৪. কার্যনির্বাহী পর্ষদের সদস্য ও মেয়াদ
ক) একজন সদস্য সর্বোচ্চ ২ (দুই) মেয়াদের বেশী কার্যনির্বাহী পরিষদের একই পদে অবস্থান করতে পারবে না। প্রতি মেয়াদের সময়কাল নির্বাচনের তারিখ হতে ২ (দুই) বছর।
খ) পুনরায় সংশ্লিষ্ট পদে অবস্থান নিতে হলে বা পেতে হলে বা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হলে সংশ্লিষ্ট পদে এক মেয়াদ (২ বছর সময়কাল) বিরত থেকে পরবর্তীতে আবার মনোনীত বা নির্বাচিত হতে পারবে।
গ) বর্তমান পদ ব্যতিরেকে অন্যান্য পদে মনোনয়নে বা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

ধারা ১৫. কার্যনির্বাহী পর্ষদের পদ সমূহ, কর্মকর্তাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য
ক)    সভাপতি : সভাপতি সংগঠনের প্রধান মুখপাত্র হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন। কার্যনির্বাহী পর্ষদের ও সাধারণ পর্ষদের সভায় সভাপতিত্ব করবেন। যে কোন বিষয়ে ভোটাভুটিতে উভয় পক্ষে সমান সংখ্যক ভোট হলে ১টি কাস্টিং ভোট প্রদান করতে পারবেন।
খ)    সহ-সভাপতি : সহ-সভাপতি সংগঠনের সভাপতির অনুপস্থিতিতে কার্যনির্বাহী পর্ষদের ও সাধারণ পর্ষদের সভায় সভাপতিত্ব করবেন। যে কোন বিষয়ে ভোটাভুটিতে উভয় পক্ষে সমান সংখ্যক ভোট হলে সভাপতির অনুপস্থিতিতে ১টি কাস্টিং ভোট প্রদান করতে পারবেন।
গ)    সাধারণ সম্পাদক : সাধারণ সম্পাদক কার্যনির্বাহী পর্ষদের সভা আহবান করবেন। সংস্থার দলিলপত্র, সভার কার্যবিবরণী ও প্রস্তাবাবলী সংরক্ষণ করবেন। সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনায় প্রধান ভূমিকা পালন করবেন এবং কার্যনির্বাহী পর্ষদের সদস্যদের কাজকর্ম ও ব্যক্তিগত সুবিধা/অসুবিধা সম্পর্কে সঠিক খোঁজ খবর নিয়ে তদনুযায়ী সদস্যদের দায়িত্ব বণ্টন করবেন। এ ছাড়া পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে সেকল দায়িত্ব তার উপর বর্তায় তা পালন করবেন। সম্মেলনে কার্যক্রম প্রতিবেদন উত্থাপন করবেন। সর্বনিম্ন ১৫ দিনের নোটিশে সাধারণ সভা আহবান করবেন।
ঘ) সহ সাধারণ সম্পাদকঃ সহ সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদকের সহযোগী হিসেবে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনে সার্বিক সহযোগিতা করবেন। সাধারণ সম্পাদকের অনুমোদিত ছুটি/অসুস্থতা/অনুপস্থিতির সময় “সাধারণ সম্পাদক (সাময়িক)” হিসেবে সাধারণ সম্পাদকের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবেন।
ঙ)    সাংগঠনিক সম্পাদক : তিনি সংগঠনের গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখবেন ও দায়িত্ব পালন করবেন। সংগঠনের জন্য কল্যাণকর সুপারিশ সাধারণ সম্পাদকের কাছে তুলে ধরবেন। সাধারণ সম্পাদককে কাজে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবেন। সংগঠনের সম্পাদকদের কার্যক্রম সমূহ মনিটরিং করবেন এবং রিপোর্ট করবেন।
চ)    অর্থ সম্পাদকঃ কার্যনির্বাহী পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তহবিল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবেন। চাহিদার ভিত্তিতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় অর্থ সরবরাহের ব্যবস্থা করবেন। সংগঠনের তহবিল বিনিয়োগের ব্যবস্থাপনা করবেন। বিভিন্ন ক্ষেত্র হতে তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ নিবেন। সাধারণ পর্ষদের সভায় উপস্থাপনের জন্য আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করবেন। আন্তঃ ও বহিঃ নিরীক্ষক দ্বারা আয়-ব্যয় নিরীক্ষার ব্যবস্থা করবেন। আয় -ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ এবং রিপোর্ট প্রস্তুত করবেন। প্রতিবেদন নিয়মিত সভায় উত্থাপন করবেন। সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শক্রমে বিভিন্ন পর্যায় হতে সংগৃহীত বা আগত অর্থ ব্যাংক একাউন্ট ভুক্ত করবেন। অর্থ সংগ্রহের জন্যও তৎপর হবেন।
ছ)    প্রচার, প্রকাশনা ও যোগাযোগ সম্পাদক : সংগঠনের কার্যক্রম কার্যকরী ভাবে প্রচার ও প্রসারে  কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ডাটাবেজ তৈরি ও সংরক্ষণ করবেন। সংগঠনের ভিতরে ও বাহিরে কার্যকরী যোগাযোগ নিশ্চিতকরণ ও ইস্যু ভিত্তিক বিভিন্ন প্রকাশনা ও উপস্থাপনা প্রস্তুতে মূখ্য ব্যক্তি হিসাবে অনুমোদনের ভিত্তিতে বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।  
জ)    কার্যনির্বাহী সদস্য : কার্যনির্বাহী পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে কোন দায়িত্ব পালন করবেন।

ধারা ১৬. সভা
ক)    সাধারণ সম্পাদক সভাপতি ও উপদেষ্টা পর্ষদের সাথে আলোচনা করে কার্যনির্বাহী পর্ষদের সভা আহবান করবেন। সাধারণ ভাবে কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা ৭ দিনের এবং জরুরী সভা ২৪ ঘন্টার বিজ্ঞপ্তিতে আহবান করা যাবে।
খ)    সাধারণ সম্পাদক নির্বাহী পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বার্ষিক, দ্বি-বার্ষিক সভা/সম্মেলন এবং বিশেষ সাধারণ সভার বিজ্ঞপ্তি (পত্র/অনলাইন) প্রদান করবেন। সাধারণ ভাবে বার্ষিক, দ্বি-বার্ষিক সভা/সম্মেলন এবং বিশেষ সাধারণ সভা ১৫ দিনের এবং জরুরী সভা ৫ দিনের বিজ্ঞপ্তিতে আহবান করা যাবে।
গ)    সকল সভা সম্মুখ হতে পারে আবার ইন্টারনেটের যে কোন মাধ্যমেও হতে পারে।
ঘ)    এই গঠনতন্ত্র কার্যকর হওয়ার পর প্রতি বছর সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর মাসে বার্ষিক সম্মেলন, দ্বি -বার্ষিক সম্মেলন ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত হবে। যদি কোন বিশেষ কারণে নির্দিষ্ট সময়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত না হয় তাহলে কার্যনির্বাহী পর্ষদের সিদ্ধান্তক্রমে যত দ্রুত সম্ভব সম্মেলন অনুষ্ঠিত করতে হবে এবং ঐ সম্মেলন দেরী হওয়ার কারণ পরবর্তী সাধারণ সভায় অনুমোদিত হতে হবে।

ধারা ১৭. কোরাম ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের পদ্ধতি
ক)    কার্যনির্বাহী পর্ষদ যে কোন সভায় দুই তৃতীয়াংশ সদস্য এবং বার্ষিক, দ্বি -বার্ষিক সভা/সম্মেলন বা বিশেষ সাধারণ সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য উপস্থিত হলে তাকে কোরাম হিসাবে গণ্য করা হবে।
খ) কোরামের অভাবে কোন সভা মুলতবী হলে, পরবর্তীতে সভা অনুষ্ঠানের তারিখ সকলকে জানানোর পরেও যদি কোরাম পূর্ণ না হয় হলেও সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং কোরাম পূর্ণ হয়েছে বলে গণ্য হবে।
গ) সংখ্যাধিক্য মতকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পদ্ধতি হিসাবে গণ্য করা হবে।

ধারা ১৮.নির্বাচন
ক)    দ্বি-বার্ষিক সভা/সম্মেলনে সাধারণ পর্ষদের সদস্যদের মতামতে (হাত তুলে) অথবা গোপন ভোটে কার্যনির্বাহী পর্ষদ নির্বাচিত হবে।
খ)    প্রতিবার সভা/সম্মেলনের আগে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার সময় কার্যনির্বাহী পর্ষদ একটি চূড়ান্ত ভোটার সদস্য তালিকা প্রণয়ন করবে।
গ)    সভা/সম্মেলনে তৎকালীন কার্যনির্বাহী পর্ষদের পক্ষ থেকে নতুন নির্বাহী পরিষদের নাম প্রস্তাব করা হবে। এই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে হাত তুলে সমর্থন করে নতুন নির্বাহী পরিষদ নির্বাচিত করা যাবে।
ঘ)    একই পদে ২ (দুই) বা ততোধিক মনোনয়ন জমা দিলে ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে।  সেক্ষেত্রে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না এমন একজনকে নির্বাচন কমিশনার মনোনীত করে গোপন ভোট  গ্রহণ করা হবে।

ধারা ১৯.পদত্যাগ, অব্যহতি ও শুন্য আসনের নির্বাচন
ক)    কার্যনির্বাহী পর্ষদের কোন সদস্য অথবা কোন কর্মকর্তা পদত্যাগ করলে পর্ষদের সভায় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। 
খ)    কার্যনির্বাহী পর্ষদের যে কোন সদস্য গঠনতান্ত্রিক বিধান এবং নির্বাহী পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে কার্যনির্বাহী পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেই সদস্যকে কার্যনির্বাহী পর্ষদের সদস্যপদ থেকে অব্যহতি প্রদান করা হবে।  
গ)    কার্যনির্বাহী পর্ষদের যে কোন শুন্য পদে সাধারণ সদস্যগণের মধ্যে থেকে যে কোন সদস্যকে সংশ্লিষ্ট পদে যুক্ত করার অধিকার কার্যনির্বাহী পর্ষদের থাকবে।

ধারা ২০. আর্থিক ব্যবস্থাপনা
ক)    সংগঠনের নির্ধারিত ফরম পূরণের মাধ্যমে প্রত্যেকে সাধারণ সদস্য হিসেবে সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত হবেন।
খ)    প্রত্যেক সদস্যকে বার্ষিক চাঁদা ২,০০০/- টাকা প্রদান করতে হবে। কোন সদস্য পরপর ০৩ (তিন) বছর বার্ষিক চাঁদা প্রদানে ব্যর্থ হলে তার সদস্যপদ বাতিল বলে গণ্য হবে। তবে জবাবদিহিতার মাধ্যমে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার সদস্যপদ পুনরায় বহাল করা যাবে। এই অর্থ গঠনতন্ত্রের ৬ নং ও ৮ নং ধারা মোতাবেক সংগঠনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে খরচ করা হবে। সদস্যগন কোন অবস্থাতেই এই অর্থ থেকে কোন প্রকার লভ্যাংশ দাবী করতে পারবে না।
গ)    কোন সদস্য বার্ষিক ২০০০/- টাকা প্রদানে অপারগতা/অক্ষমতা প্রকাশ করলে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে কার্যনির্বাহী পরিষদ তার বার্ষিক চাঁদা মওকুফ করতে পারবে। এক্ষেত্রে সেই সদস্যও সাধারণ সদস্য হিসেবে পরিচিতি পাবে এবং তাকে কোন বার্ষিক চাঁদা প্রদান করতে হবেনা।
ঘ)    এককালীন ২০,০০০/- টাকা প্রদানের মাধ্যমে একজন সদস্য সংগঠনের আজীবন সদস্যপদ গ্রহণ করতে পারবে। আজীবন সদস্যকে কোন বার্ষিক চাঁদা প্রদান করতে হবে না।
ঙ)    বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুদান, উপহার, সহযোগিতা ও বৈধ চাঁদা গ্রহণ করা যাবে।
চ)    সংগঠন যে কোন সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত ও বে-সরকারী প্রতিষ্ঠানের অনুদান গ্রহণ করে তহবিল গঠন করতে পারবে।
ছ)    যে কোন বাণিজ্যিক ব্যাংকে সংগঠনের নামে ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদক এই ৩ জনের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হবে তবে ৩ জনের মধ্যে অর্থ সম্পাদক সহ যে কোন ২ জনের স্বাক্ষরে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তলন করা যাবে।

ধারা ২১. নিরীক্ষা কার্যক্রম
সংগঠনের সাধারণ পর্ষদের সভায় সংগঠনের মধ্য হতে মনোনীত অডিট কমিটির দ্বারা অথবা সংগঠনের সক্ষমতার ভিত্তিতে বহিঃ নিরীক্ষা দল  কর্তৃক নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

ধারা ২২. গঠনতন্ত্র সংশোধন
সংগঠনের সাধারণ পরিষদের সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে গঠনতন্ত্রের যে কোন ধারা সংযোজন, সহযোজন, বিয়োজন করা যাবে। সংগঠনের কার্যনির্বাহী পরিষদ সাধারণ পরিষদের সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করে ধারা সংশোধন. সংযোজন ও বিয়োজনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

ধারা ২৩. গঠনতন্ত্রের ব্যাখ্যা
গঠনতন্ত্রের বিশ্লেষণ বা ব্যখ্যার দায়িত্ব কার্যনির্বাহী পর্ষদের। এই গঠনতন্ত্রের অন্তর্গত নিয়মাবলী সম্পর্কে কোন বিতর্ক বা মতবিরোধ দেখা দিলে তা কার্যনির্বাহী পর্ষদ বিবেচনা করে যে রায় প্রদান করবে তাই অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

ধারা ২৪. সংগঠন বিলুপ্তি

সাধারণ পর্ষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অর্থাৎ তিন চতুর্থাংশের মতামতের ভিত্তিতে সংগঠন বিলুপ্ত করা যাবে। বিলুপ্তির পূর্বে সংগঠনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় করে দায় পরিশোধ পূর্বক বিলুপ্ত করতে হবে। দায় পরিশোধের পরে সংগঠনের কোন সম্পদ অবশিষ্ট থাকলে সকল সদস্যদের মাঝে বণ্টন অথবা সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে সমমনা কোন প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা হবে।

----------------------------------------------------------------------------------------------------------

গঠনতন্ত্রটির উপস্থাপনা ও ক্রমান্নতি
১) ১২-আগস্ট-২০২৩ এর জুম মিটিং এর এজেন্ডা ১২.১ মোতাবেক কংকন কুমার দত্ত ও নাসের মোস্তাফিজ সভায় খসড়া গঠনতন্ত্র উপস্থাপন করেন।

২) ১৯-আগস্ট-২০২৩ এর জুম মিটিং এর এক মাত্র এজেন্ডা উপস্থাপিত গঠনতন্ত্রটি নিয়ে সাধারণ আলোচনায় ১৩.২ হতে ১৩.৬ মোট পাচটি সংষোধনী প্রস্তাব করা হয়।

৩) ১৯-আগস্ট-২০২৩ এর জুম মিটিং এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক নাসের মোস্তাফিজ ২৮-আগস্ট-২০২৩ গঠনতন্ত্রটি সংষোধন পূর্বক সভাপতি মোহাম্মদ মোস্তফা সার্জিলের নিকট প্রেরণ করেন।

৪) ২৯-আগস্ট-২০২৩ তারিখ মোহাম্মদ মোস্তফা সার্জিল নাসের মোস্তাফিজ প্রেরিত সংষোধিত গঠনতন্ত্রটি খানিকটা পুন সংশোধন করে এক্সিকিউটিভ কমিটিতে প্রকাশের জন্য তার ব্লগে আপলোড করেন।

৫) ২-সেপ্টেম্বর-২০২৩ কিবরিয়া ও কংকন দত্তর কাছ হতে প্রাপ্ত সংষোধনী গুলো আপডেট করা হয়। 

৬) ৯-সেপ্টেম্বর-২০০৩ তারিখে ক্লোজ ডোর এক্সিকিউটিভ এর সিদ্ধান্তে খসড়া গঠনতন্ত্রটি মূল গঠনতন্ত্র হিসেবে গৃহীত হয় ও সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়, যা ২২-সেপ্টেম্বর-২০২৩ তারিখে সবার সম্মতিতে পাস করা হয়ে গেছে।





No comments:

Post a Comment