“আমরা ৮৮” বলে একটা ব্যাচ ছিল যাদের এমটিডিআর (এফডিআর) আমাদের ইসলামী ব্যাংকিং উইন্ডোতেই করা হয়েছিল। আর আমরা ২০০৪ সালের অফিসার আইটি ব্যাচ। অন্য ব্যাচ গুলো আমাদের সম্পর্কে নানা কথা বলে কিন্তু আমরা কার সম্পর্কেই কোন বিরূপ মন্তব্য করি না। আগেই বলে রাখি, ২৮জুলাই২০২৩ এর জুম মিটিং টা ইউটিউবে আপলোড করে লিংকটা গ্রুপে শেয়ার করার পর আশরাফ হায় হায় করে উঠেছিল, দুনিয়ার সবাই নাকি আমাদের সব কথা জেনে যাবে বা দেখে ফেলবে। ওকে বললাম যে আমি ভিডিও লিংকটি আনলিস্টেড ফরমেটে রেখেছি তাতে করে শুধু যারা ওই লিংকটা পাবে তারা দেখতে পারবে আর অন্য কার পক্ষে এই ভিডিওটি দেখা সম্ভব নয়। তেমনি আমার এই লেখাটাও যাদের শেয়ার করছি তারা ছাড়া আর কেউ দেখার সুযোগ পাবে না যদি না আমাদের মধ্যে কেউ অন্য কাউকে লিংকটা শেয়ার না করে। এটা শুধু আমাদের জন্য লেখা। সোনালী ব্যাংকে ২০০৪ এ জয়েনের পর থেকে বলা যাবে না, বরং ফাউন্ডেশন কোর্স বা অরিয়েন্টেশন কোর্স থেকেই চিন্তাটা মাথায় এসেছিল যে, আমরা যারা এই কয়েকজন আমাদের মধ্যে আন্ত যোগাযোগ ও বন্ধুত্ব বজায় রাখার জন্য একটা সংগঠন দরকার আছে। আমি যখন সোনালী ব্যাংকে চাকুরীর আগে এনআইআইটি তে ফ্যাকাল্টি বা ট্রেনার হিসেবে চাকরি করতাম সিলেটে তখন আমার এক্সেস ডাটাবেইজ ছিল প্রত্যেক ছাত্রর নাম ঠিকানা সম্বলিত। যাদের প্রত্যেককে আমি তাদের উন্নয়ন সম্পর্কে চিঠি লিখতাম আর এ কাজটা সহজ করে দিত ওই ডাটাবেইজ। একটাই চিঠি সবার নামে নামে আর খামে খামে তাদের ঠিকানা সহ লিখে দিত ওই ডাটাবেইজ যা আমাকে মেইল মারজ করলেই হতো। ঠিক একই রকম ডাটাবেইজ আমি তৈরি করি যখন ধানমন্ডির টেকনো কিডস (কানাডা ভিত্তিক বাচ্চাদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র) এ চাকরী করতাম। আমাদের ২৫ জন করে চারটা অরিয়েন্টেশন কোর্স হয় যারা প্রত্যেকে তাদের সকলের নাম ঠিকানা সম্বলিত একটা করে চারটি লিস্ট বানিয়েছিল। তার সবগুলো সংগ্রহ করে আগের সেই ডাটাবেইজই একটু কাস্টমাইজড করে আমাদের ১০০ জনের নাম ঠিকানা গুলো এন্ট্রি দিয়ে ওটা থেকে সবাইকে এড্রেস করে চিঠি লিখেছিলাম সেই সময়কার ডট মেট্রিক্স প্রিন্টার ব্যবহার করে। তখন নতুন ছিলাম অতশত বুঝতাম না। বিষয়টি নিয়ে প্রথম ধাক্কা খাই যখন তখনকার প্রিন্সিপাল অফিসার আজিজ আহমেদ খান স্যার বললেন কোন একটা ব্যাচ এরকম সংগঠন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের রোষানলে পড়েছিল। তখন বুঝলাম বিষয়টা এত সহজ নয়। নানা রকম প্রতিবন্ধকতা আছে। তাই অত তোড় জোর না করে একটু স্তিমিত হয়ে গিয়েছিলাম।
যে ভাবে শুরু হয়েছিলঃ-
২০১৪ সালের দিকে যখন পুরাতন সিবিএস গুলো থেকে ইন্টালেক্ট সিবিএস এর কনভার্সন চলছিল তখন মাসুদ স্যারকে অনুরোধ করলাম আমার পোস্টিং ব্রাঞ্চ বেগম রোকেয়া সরণিতে আলমগিরকে যেন দেয়া হয়। ও আসাতে আমার অনেক সুবিধা হয়েছিল আর কাজও অনেক দ্রুত শিখা হয়ে গিয়েছিল। ওর সাথে কথায় কথায় একদিন ও প্রসঙ্গটা তুললো যে সব ব্যাচের সংগঠন আছে আমাদেরও হওয়া দরকার। আমি বললাম তা হলে চল শুরু করি। ও বললো তুমি সভাপতি হও বা সাধারণ সম্পাদক হও। আমি না করে দিয়ে বললাম আমি হলে কাজ আগাবে না বরং যাকে দিয়ে কাজ হবে তাদের নাও, আমি তো সাথে আছিই আর থাকবোও। এরকম সময় দেলোয়ারের বিয়ের দাওয়াত পাওয়া গেল আর ওখানে আমাদের অনেকেই গিয়েছিল। তখনই সবাই সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমাদের একটা সংগঠন দাড় করাবো। তাই দেলোয়ারের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকেই শুরু হয় আমাদের যাত্রা। তারিখটা রেজুলেশন বইয়ে উল্লেখ করেছি তা হলো ৬ই মার্চ ২০১৪ (০৬/০৩/২০১৪)।
এর পরে যা হলো যামসেদকে সভাপতি করে আলমগির ঠিকই সংগঠনটা শুরু করে দিল। যার প্রথম সভা হলো রমনা পার্কের রেস্টুরেন্টে। আমরা অনেকেই গিয়েছিলাম সেই সভায়। ওখানে সিদ্ধান্ত হলো আমরা একটা ফেমেলি এ্যাকুয়েন্টেন্স পিকনিক করবো আর তা রমনা পার্কেই করা যায়, যা সবার জন্য সুবিধাজনক ভাবে ঢাকার একেবারে মধ্য খানে অবস্থিত। তখনও আমি ইদ্রিসকে কিংবা এ রকম আর অনেককেই ভাল মত চিনতাম না। যা হোক, আমাদের রমনার পিকনিকটা দারুণ ভাবে সফল হয়েছিল। আমরা সুভিনির হিসেবে মগ দিয়েছিলাম, বাচ্চাদের প্রতিযোগিতা হয়েছিল, র্যাফেল ড্র হয়েছিল। ভাবিদের পিলো পাসিংও হয়েছিল। পিকনিকটাতে প্রস্তুতিমূলক মিটিংগুলো হয়েছিল আমার বাসার তৃতীয় তলায় আমার দেয়া একটা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রুম গুলোতে। আমরা বেশ মজা করেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম আর পিকনিকের সময় জিয়া, দেলোয়ার, আলমগির সহ আরো অনেকেই দারুণ উৎসাহ নিয়ে প্রাণবন্ত একটা অনুষ্ঠান সবাইকে উপহার দিয়েছিল। এই সফল অনুষ্ঠানের পর আবার সবার যার যার কাজে ব্যস্ত হয়ে যাওয়া। দ্বিতীয় জোয়ারটা আসে যখন ২০১৭ সালে জিন্দা পার্কে সারা দিনের পিকনিকের আয়োজন করে আলমগির ও তার সহযোগীরা। সেবারকার প্রস্তুতিমূলক সভাগুলোতে আমি খুব একটা অংশ গ্রহণ করতে পারি নাই কিন্তু বেশ কয়েকজন অত্যন্ত সক্রিয় ছিল বলে সেবারকার পিকনিকটাও সফল হয়। আমি আমার ছোট মেয়ে দীপ্তিকে নিয়ে অংশ গ্রহণ করেছিলাম। ওই পিকনিকেই মনে হয় আমাদের নারী ব্যাচমেট সবাই অংশ গ্রহণ করেছিল। ওই অনুষ্ঠানে রেফেল ড্র পুরষ্কার বিতরণের সময় আলমগির কর্তৃক তার স্ত্রী সাপলার হাতে পুরষ্কার তুলে দেয়ার ছবিটি মনে হয় সব থেকে মজাদার ছবি ছিল।
এর কিছুদিন পরে, এক সময় আমার এলাকার বন্ধু সোহেল কামরুল যে সিনিয়র অফিসারে আইটি হিসেবে ২০০৪ এ ব্যাংকে জয়েন করে আর আমাদের প্রথম অরিয়েন্টেশন ব্যাচে আমাদের সাথেই রাজারবাগ স্টাফ কলেজে অংশ নেয়। এখনও সে আমাদের অনেকের সাথেও বেশি সংযুক্ত। ওর একটা ইচ্ছা ছিল সকল আইটি অফিসারদের নিয়ে একটি বৃহত্তর সম্মিলিত সংঘ করা। তারিই প্রথম উদ্যোগ হিসেবে শ্যাওড়াপাড়ার ফরেস্ট লাউঞ্জে একটা সিনিয়র অফিসার আইটি ও অফিসার আইটি ২০০৪ এর একটি সম্মিলিত সভা অনুষ্ঠিত হয় যার অর্ধেক খরচ আমরা দেই। ওখানে মোমেন ভাই, মামুন ভাই সহ আমাদের মধ্য থেকেও অনেকেই বক্তব্য রাখে ও একসাথে সংঘবদ্ধ থাকার সংকল্প ব্যক্ত করে। এর পরে এই যৌথ উদ্যোগের একটি সম্মিলিত জুম মিটিং আমার মডারেটরিং এ অনুষ্ঠিত হয় যাতে জিয়া উদ্বোধনী বক্তব্য রাখে ও পরে মামুন ভাই বক্তব্য রাখেন। ওই মিটিংটিও দারুণ ভাবে সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছিল ও অফিসার আইটি ও সিনিয়র অফিসার আইটি দের একত্রিত সংগঠনের দিকে এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তার পর আবার যার যার তার তার হয়ে সবাই তাদের কাজে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় তার পরবর্তী আর কোন ফলপ্রসূ কোন কর্মকাণ্ড চোখে পড়ে নি।
করনা কালীন সময়ে আলমগির আমাকে ডেকেছিল একটা জমায়েতে কিন্তু আমি এতটাই ভিত ছিলাম যে ওই অনুষ্ঠানে আমি যোগদান করি নাই, ওকে বলেছিলাম আমি যদি করনায় মারা যাই তবে আমার পরিবার কি তুমি দেখবা। তার জন্য আলমগির আমার উপর রুষ্ট হয়েছিল। এদিকে আলমগির মিরপুর ১২ পল্লবী শাখায় ম্যানেজার আর ও বর্ষ সমাপনই অনুষ্ঠান করে যেখানে তখনকার মিরপুর পিও’র ডিজিএম তানজিম স্যারও গান করেছিল দেখলাম। এর মানে হলো আলমগির ম্যানেজারি করাতে বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। আলমগিরের টনসিল অপারেশন ও তদপরবরতী আর শারীরিক সমস্যায় ইন্ডিয়া ভ্রমণও সংগঠনের কাজের গতি কমায়ে দেয়। শুরু থেকে আলমগিরের তৎপরতা আর সদিচ্ছা প্রশংসা তুল্য। তার সাথে জামসেদ, দেলোয়ার, শফিক, রফিক, যহির, মেহেদি ও আমার সহযোগিতা তো ছিলই।
তার পর কেটে যায় বেশ কিছু বছর, দায়িত্বে ছিল জামসেদ (সভাপতি) আর জিয়া (সাধারণ সম্পাদক)। জিয়া পিডিতে থাকার কারণে খুব ব্যস্ত থাকতো আর তেমন কোন উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয় নাই তার সময় কালে। রমজানের সময় একবার ইফতার পার্টিতে গিয়েছিলাম ও’র আমন্ত্রণে। ওখানে জামাল তার ছেলেটাকে নিয়ে আসে আর নাজনিনও এসেছিল। দেলোয়ার ছিল, আকমল ছিল, শফিক ছিল এরকম আমরা কয়েকজন। ওখানে জিয়া যা বললো তা সবাইকে জানাতে মানা করেছিল বলে বললাম না। কিন্তু ইফতার পার্টিটা আমরা সবাই ইনজয় করেছিলাম। এরও বেশ কয়েক বছর পর ২০২৩ সালের মার্চ মাসে আলমগিরের ও তার সহযোগীদের উদ্যোগে কুয়াকাটা ট্যুর এর আয়োজন করা হয়। প্রথমে আমি যেতে রাজি হই নাই কিন্তু ইদ্রিসের ফোন কল আর ওর অনুরোধে আমার বড় মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করি ইদ্রিসের সাথে লঞ্চে যাওয়ার। কিন্তু দেলোয়ার ইউরো স্লিপিং বাথ এর দোতালা বাস এর ছবি দেখে ভাবলাম লঞ্চের চেয়ে বাসেই মনে হয় আরাম হবে। তাই বাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। ওদিকে ইদ্রিস এর কোন খবর নাই, সেই নাকি গেল না কোন একটা কাজে আটকা পরে। আমি চাঁদপুরের সুমন দাস আর পুরাণ ঢাকার লিটন মিয়াকে অনুরোধ জানাতে লিটন মিয়া রাজি হলো যেতে। কুয়াকাটা ট্যুর এর সব থেকে বড় অর্জন পূর্বের সব কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটির নির্বাচন করা। আলমগির, শফিক, দেলোয়ার এর উদ্যোগে এই নির্বাচন যথার্থ সময়ে ও সঠিক ভাবেই সম্পন্ন হয়। জিয়া আমাদের সাথে যেতে পারেনি, জামসেদও না। জামসেদ শেষের দিকের প্রোগ্রাম গুলোতে কমই উপস্থিত থাকতে পেরেছে ওর পারিবারিক নানা সমস্যার কারণে। জামসেদকে আলমগীর জমসেদ ডাকতো তো একদিন জামসেদ খেপে গিয়ে ভদ্র ভাষাতেই ওকে বলেছিল, তুমি আমাকে জমসেদ বলে ডাক কেন? আমার নাম তো জামসেদ। ওকে আলমগীর জমসেদ বলে ডাকতো বলেই কি ও কাজে উৎসাহ হারায়ে ফেললো তা জানা হয় নাই আজো।
বর্তমানে যে অবস্থায় আছেঃ-
আমি গোরা থেকেই সব দেখছি ও অংশগ্রহণ করছি যখন যে ভাবে পারি কিন্তু কুয়াকাটায় যে আমাকে সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হবে তা আমি ঘুণাক্ষরেও টের পাই নাই বা প্রস্তুত ছিলাম না। যা হোক যখন সবার সম্মতিতে তা করা হলো তখন ভাবলাম দেখা যাক কি করা যায়। সংগঠন চালায় মূলত সাধারণ সম্পাদক কিন্তু দেলোয়ার হলো কাজেকর্মে ভাল মানুষ কিন্তু ডকুমেন্টেশন বা নথি পত্রর কাজ ওকে দিয়ে হবে না। এত বছর হয়ে গেল আমাদের কোন ব্যাংক একাউন্ট হয় নাই কিংবা রেজুলেশন কিংবা সংবিধানও হয় নাই। এত দিন যা হয়েছে তা সব মুখে মুখে। একটা সংগঠন কি কেবল মুখে মুখে থাকা সম্ভব? এর কিছু নথি পত্র থাকবে না? শফিক হলো সাংগঠনিক সম্পাদক, ওর মধ্যে সংগঠনের বিষয়ে আলমগির, দেলোয়ার আর আমার মধ্যে যে স্বপ্ন আছে তা ওর মধ্যেও আছে লক্ষ্য করেছি। আর ও সব থেকে বেশি কানেকটেড আমাদের সব ব্যাচ মেটদের সাথে। সাংগঠনিক পদ হিসেবে ওর নির্বাচিত হওয়াটা সব দিক থেকে সঠিক মনে হয়েছে আমার কাছে। আমাকে সভাপতি করার বিষয়ে সাদেক সবার আগে প্রস্তাব করে তাই ওকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়। আলমগিরের সহ সভাপতি পদে সরে যাওয়াটা কৌশলগত মনে হয়েছে আমার কাছে। ও দয়িত থেকে সরে যেতে চাচ্ছে কিন্তু সংগঠনের সাথে সক্রিয় থাকবে এরকম একটা ইচ্ছা থেকে ও এরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আমার ধারণা। মহিলাদের বা আমাদের বোনদের মধ্যে থেকে একজন প্রতিনিধি থাকা প্রয়োজন আর তাই আমাদের সাথে জেবুন নাহার তার দুই ছেলে নিয়ে গিয়েছিল আর আমাদের মিটিং এ উপস্থিত ছিল। আমাদের সকল কার্যক্রম ও প্রথম থেকেই সমর্থন করে। ওকেই সহ সভাপতি (মহিলা) পদে নির্বাচনটাও সঠিক হয়েছে। যারা অঞ্চল প্রধানের দায়িত্ব প্রাপ্ত তাদের মধ্যে কিবরিয়ার অবদান সব থেকে বেশি। ওকে ছাড়া বরিশাল অঞ্চল চিন্তাই করা যায় না। আমাদের মধ্যে থেকে যে চার জন এজিএম হয়ে গেছে তাদের উপদেষ্টা হিসেবে রাখা হয়েছে, যাদের মধ্যে কাউসার মোল্লা উপস্থিত ছিল আমাদের সংগঠনের তৃতীয় সাধারণ সভায়। আগে হোক বা পরে হোক আমরা সবার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে এখনও টিকে আছি আর সামনের সময়ে আমাদের মধ্যে আরো প্রগাড় বন্ধন সৃষ্টি হবে বলে আমি আশাবাদী।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ-
কুয়াকাটার মিটিং শেষে নাসের মোস্তাফিজ আমাকে বলেছিল সংগঠনটাকে এমন ভাবে দাড় করাও যাতে আগামী কোন জাতীয় বড় অনুষ্ঠানে আমরা ফুলের তোড়া নিয়ে যেতে পারি। আমি যে ভাবে দাড় করাতে চাচ্ছি তা হলো সংগঠনের কয়েকটি প্রেক্ষিত আছে এক হলো এর প্রাতিষ্ঠানিক প্রেক্ষিত, মানে হলো আমাদের চাকুরীতে আমাদের যারা সহকর্মী আছে ও সিনিয়র অফিসার আইটি যারা ২০০৪ এ জয়েন করেছেন তাদের সাথে আমাদের সম্পর্কর ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি করা। দ্বিতীয় হলো আমাদের ভবিষ্যতের ভাবনা। আমরা আর মাত্র ১০ কি ১২ বছর আছি চাকুরীতে, কেউ হয়তো দু এক বছর এদিক ওদিক। চাকুরী শেষে বা শেষ হতে হতে আমাদের মধ্যে রেজার মতো কেউ কেউ পরপারে চলেও যেতে পারে। চাকুরী শেষে কেউ কেউ হয়তো আরো অনেক পরে বের হবে, যেমন আমি আছি ২০৩৩ সাল পর্যন্ত, জোহা হয়তো থাকবে ২০৪৩ পর্যন্ত, তখন আমাদের কেউ যে আছে আর সে কোথায় আছে তা জানা থাকবে ও তাদের সহযোগিতা পাওয়া যাবে। চাকুরী শেষেও যাতে সংগঠনটি চলমান থাকে তার ব্যবস্থাও করা দরকার কারণ একসাতে এতগুলো বছর আমরা একই প্রতিষ্ঠানে ছিলাম আমাদের মধ্যে একটা আজীবনের বন্ধন ইতোমধ্যেই তৈরি হয়ে গেছে। তৃতীয় হচ্ছে সামাজিক প্রেক্ষিত, আমরা আমাদের সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখি তাই সংগঠনটিরও সামাজিক ভূমিকা থাকা উচিত। সময়ের সাথে সাথে প্রতিটি জিনিসই উন্নত হয়, আমার ধারনা আমাদের সংগঠনটিও উন্নত হবে। সবার সহমতে নানা প্রকল্পও হাতে নেয়া যাবে। তাই এর গঠনতন্ত্রটা অত্যন্ত জরুরী। যে কাজটিতে হাত দিয়েছে নাসের মোস্তাফিজ আর কংকন দত্ত। ওরা খসড়া গঠনতন্ত্রটা সবাইকে প্রস্তাবাকারে দিলে অল্প সময়ের মধ্যেই তাকে আইনে পরিণত করে ফেলতে হবে। তবেই সংগঠনটা একটি শক্ত কাঠামো পাবে বলে আমি মনে করি।
এডিট ও আপডেট হিস্ট্রিঃ ৩১ জুলাই ২০২৩> ১ আগষ্ট ২০২৩>
No comments:
Post a Comment