Friday, June 16, 2023

আমি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রজন্মর একজন

 

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঠিক পরের বছরের শেষ দিকে ৫ই নভেম্বর ১৯৭২ এ আমার জন্ম। । স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রজন্মর একজন আমি । এই অর্থে আমি অত্যন্ত ভাগ্যবান। স্বাধীন দেশের খোলা হাওয়ায় নিশ্বাস নিয়ে জন্মেছি । স্বাধীনতা যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখতে হয়নি আমাকে। চিলড্রেন অব দি ওয়ার মুভি যা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মাণ করা, ওটা দেখে সারা রাত কেঁদেছি। হাউমাউ করে কাদা নয়, রাত জেগে দেখছি আর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। পরের সাত দিন ঠাণ্ডা লেগে গিয়েছিল আমার সেই কান্নার পানিতে মুখ সারা রাত ভিজে থাকায়। ওই মুভির এক জায়গায় দেখান হয়, হানাদারদের ভয়ে জঙ্গলে পালায় এক পরিবার সাথে ছিল নবজাত এক শিশু, তার কান্না থামাতে তার মুখে হাত দিয়ে চেপে রাখে তার বাবা, যখন হানাদার বাহিনীরা চলে যায় তখন বাচ্চার মুখ থেকে হাত সরালে দেখা যায় সেই বাচ্চাটা আর বেচে নাই। এরকম আর অনেক করুন বীভৎস বেদনাময় কাহিনীতে পুর মুভিটা ভরা। মুভিটা না দেখলে সেই সময়কার ভয়াবহ জীবন সম্পর্কে এই প্রজন্মের কেউ বুঝতেই পারবে না সে সময় কি ভয়ংকর অবস্থা চলছিল।

একাত্তর সম্পর্কে আমাদের ধারণা বা অভিজ্ঞতা হলো মুক্তিযুদ্ধাদের কাছ থেকে শুনা গল্প গুলো। আমার ছোট চাচা রুহুল আমিন যুদ্ধে গিয়েছিলেন তার কিশোর বয়সে। আমার বাপ চাচাদের একান্নবর্তী পরিবার ভেঙ্গে যাওয়াতে উনার কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প খুব একটা শুনার সুযোগ হয় নাই। আমার বাবা মা যুদ্ধের সময় কুষ্টিয়া সুগার মিলে ছিলেন। বাবা ছিলেন ওই সুগার মিলের ইঞ্জিনিয়ার। আমার তখনো জন্ম হয়নি। মা’র কাছে শুনেছি ওই সময় তার পেটে ছিলাম আমি। উনাদের মুখ থেকে শুনেছি যুদ্ধের গল্প। বাবা মাকে নিয়ে সুগার মিল থেকে দূরবর্তী একটা গ্রামে চলে গিয়েছিলেন ও একটা ভাল গৃহস্থ পরিবারে আত্মগোপন করে ছিলেন। বাবার বন্ধু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মিলে ছিলেন যতক্ষণ না হানাদার বাহিনী মিলটা দখল করে নেয় তার আগ পর্যন্ত, তার পর উনিও সেই গ্রামে আত্মগোপন করতে চলে আসেন। গ্রামের কুকুরগুলো মানুষ মরা খেয়ে খেয়ে নাকি নেকড়ের মত হয়ে গিয়েছিল। আমার নানা হজ্জে গিয়েছিলেন জাহাজে করে, ফিরার পথে চট্টগ্রামে আটকা পরে যান যুদ্ধের কারণে। ওই সময় রাস্তায় রাস্তায় পাক সেনাদের পাহাড়া বসান ছিল। আমার নানীর বড় ভাইকে আমি বড় নানা ভাই ডাকতাম, উনি তখন আমার ছোট খালা ও মেঝ মামাকে নিয়ে টাঙ্গাইলে তাদের গ্রামের বাড়িতে যান, যাওয়ার পথে এক পাক বাহিনীর চেক পোষ্টে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় ছোট খালা দেখেছিলেন তাকে এক পাক সেনা থাপ্পড় মারল। আমার নানা এজিবি অফিসে চাকরি করতেন আর নানু ছিলেন সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুলের বাংলার শিক্ষিকা। ওই স্কুলে আমার মা, খালাও পড়েছেন। বাসা ছিল রাজার বাগের একদম কাছে মালিবাগে। রাজার বাগ পুলিশ লাইনে যখন হামলা হলো তখন শুনেছি মামা, খালারা খাটের নিচে লুকায়ে থাকত সাইরেন বাজলেই। মালিবাগের ওই জায়গায় আমার ছেলেবেলার কিছু সময় কাটে, আজ ওখানে তিন মামা’র ছয় তলা ফ্ল্যাট বাড়ি। যুদ্ধের সময় পুর পরিবারটা যত্র তত্র ছড়ায়ে পরেছিল। নানা ভাই চট্টগ্রামে আটকা, বাবা মা কুষ্টিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামে, ছোট খালা ও মেঝ মামা টাংগাইলে বা সলিম নগরে বড় নানা ভাই এর সাথে। যুদ্ধের মাঝামাঝি সময় বাবা মাকে ও মা এর একমাত্র ছোট বোন, আমার খালাকে আমাদের গ্রামের বাড়ী মুন্সিগঞ্জে তৎকালের বিক্রমপুরের মৌছা গ্রামে জলিল চাচার সাথে পাঠায়ে দেন। গ্রামের বাড়ির চারদিকে তখন থৈ থৈ পানি, পদ্মার পানি। মা ও খালাকে কে নিয়ে বাবার ছোট ভাই আলিম চাচা গ্রাম দেখতে নিয়ে গিয়েছিলেন নৌকায় করে। তা নিয়ে নাকি গ্রামের বাড়িতে নানা কথা উঠেছিল। যুদ্ধের সময় না গ্রাম না শহর কোথাও নিরাপত্তা ছিল বলে আমার মনে হয় না। গ্রাম তো হওয়ার কথা আর অনিরাপদ জায়গা। শুনেছি হানাদার বাহিনী আসছে শুনলে কিশোরী ও যুবতী মেয়েদের পুরুরে ডুব দিয়ে লুকায়ে রাখা হতো আর নিশ্বাস নেয়ার জন্য কচুরির ডগা ব্যবহার করত তারা। চিলড্রেন অফ দি ওয়ার মুভিটাতে দেখান হয়েছে কিভাবে নির্বিচারে যুবতী মেয়ে গুলকে অধিকৃত গ্রাম থেকে ধরে এনে ৪০ ঊর্ধ্ব নারীদের মেরে ফেলা হতো আর সন্তান জন্ম দিতে পারে এরকম মেয়েদের গন হারে ধর্ষণ করা হতো। তাদের অত্যাচারের কোন সীমা ছিলনা। কখনো কখনো সারা রাত দাড় করায়ে রাখত। গরু ছাগলের মত মনে করতো ও’রা আমাদের জনগণকে। ২০১০ কি ২০১১’র দিকে একবার বিআরটিসি’র ভলভো বাসে লোকজনে ঠাসাঠাসি অবস্থায় মিরপুর যাচ্ছিলাম। তখন বাসে নানা কথোপকথনে একজন মুক্তিযোদ্ধা বলছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সময় চিন আমাদের অনেক অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে। আর ইন্ডিয়া সাহায্য করেছে অনেক ভাবে ও অনেক বেশী। এ রকম ছিটা ফোটা তথ্য থেকেই আমাকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে হয়েছে। ও’রা ১১ জন সিনেমাটা দেখেছিলাম ছোটবেলায় যা মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মাণ করা। এখন তার কিছুই আর মনে নাই। পশ্চিমা বিশ্বের ২য় বিশ্বযুদ্ধের মুভি গুলোর মতো সুন্দর মুভি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের উপর নাই। চিলড্রেন অব দি ওয়ার মুভিটাতে এডাল্ট কিছু সিন থাকাতে তা পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখা যায় না। বহু নাটক, নভেল রচনা হয়েছে অবশ্যই কিন্তু রিয়েল টাইম মুভি আরো নির্মিত হলে আমাদের ও আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম গুলো উপক্রিত হতো। গ্রেনেড সিনেমাটা কিংবা নাসিরুদ্দিন ইউসুফ নির্মিত ও পিযুস বন্ধোপাধ্যায় অভিনিত “একাত্তুর এর যিশু” স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচিত্রটিও ভাল কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পূর্নাঙ্গ চিত্রায়ন নয়। মজার ব্যাপার হলো চিলড্রেন অব দি ওয়ার মুভিটাতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কথা একদম বাদ দেয়া হয়েছে। বুঝাই যায় পলিটিকাল কারণে তা করা হয়েছে। ইতিহাস বর্ণনায় তাই বই কিংবা সিনেমা থেকে সঠিক চিত্রটি পাওয়া দুষ্কর। তিন ভাবে ইতিহাস সময়ের মধ্যে দিয়ে চলমান থাকে যার একটি হলো জীবাশ্ম রেকর্ডস, দ্বিতীয়টি হলো বই, পুস্তক, চলচ্চিত্র আর তৃতীয়টি হলো প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে স্মৃতি কথন বা পালা গান। এর মধ্যে তৃতীয়টি হলো সব থেকে বিশ্বাস যোগ্য ধারা। আমার দাদা, আমার বাবাকে বলেছে, আমার বাবা আমাকে বলেছে আর আমি আমার ছেলেকে বলে গেছি, এই ধারাটিই সব থেকে নিরাপদ সত্য প্রবাহ। তাই মুক্তিযুদ্ধাদের কাছ থেকে শুনা গল্পগুলোই সব থেকে সত্যনিষ্ঠ তাতে কোন সন্দেহ থাকে না। সোনালী ব্যাংকে আমার চতুর্থ কর্মস্থল বেগম রোকেয়া সরণী শাখার ম্যানেজার সৈয়দ আনোয়ার হোসেন স্যারও ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা তার কাছ থেকে তেমন কিছু না জানলেও আমর প্রথম কর্মস্থল সোনালী ব্যাংকের এমডিস স্কোয়াডের মোফাজ্জল স্যার (জিএম হিসেবে রিটায়ারমেন্টে গেছেন) তার কাছ থেকে মুক্তি যুদ্ধের অনেক গল্প শুনেছি আর তার লেখা বইও পরেছি। নারায়ণগঞ্জ এর আড়াই হাজার এলাকায় তিনি ও তার মুক্তি সেনা দল যে অপারেশন গুলো করেছেন তার বর্ণনা গুলো যেমন রোমহর্ষক ও তেমনি গৌরবউজ্জল স্বাধীনতা যুদ্ধের সত্য কাহিনী।

মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান আকাশচুম্বী তাতে কোন সন্দেহ নাই কিন্তু যুদ্ধ চলাকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অবদানও অনেক। মেজর জিয়াউর রহমানের ওই সময়কার অবদানটি নেহায়েত ফেলে দেয়ার মতো তো নয়ই বরং তা যুদ্ধরত জাতিকে সর্বদা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল, কিংবা একটি ফুলের হাসির জন্য আমরা যুদ্ধ করি, শিকল পড়া ছল মোদের এই শিকল পরা ছল, এই শিকল দিয়েই তোদের মোরা করব রে বিকল এসব গান গুলো তখনকার মুক্তিকামী মানুষের মনে মুক্তির জন্য আকাঙ্ক্ষা ও সংগ্রামের জন্য মাঠে নামার বিষয়ে উদ্দীপনা, উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। সোনালী ব্যাংকের বিএমইবি মাদ্রাসা বোর্ড) শাখায় ২০১২ সালে যখন কর্মরত ছিলাম তখন নিজাম ভাই যুদ্ধের স্মৃতি মনে করতে গিয়ে বলতেন তার একটা রেডিও ছিল তাতে লুকায়ে লুকায়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের খবর শুনতেন। মুক্তিযুদ্ধর উপর নির্মিত একটি চলচ্চিত্রে এই প্রসঙ্গটি একেবারে বাদ দিয়ে যাওয়াটা আমার মতে ঠিক হয় নাই। বুদ্ধিজীবীদের হত্যার বিষয়গুলোও অতটা ভয়াবহ ভাবে চিত্রায়িত হয় নাই। ময়মনসিংহ অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধা যিনি স্ব প্রনোদিত হয়ে তার দলবল নিয়ে যুদ্ধে নেমেছিলেন সেই কাদের সিদ্দিকীর প্রসঙ্গটিও উক্ত সিনেমাতে স্থান পায় নাই। শহীদ সহরোয়ারদী, মওলানা ভাসানী কিংবা শের এ বাংলা একে ফজলুল হকের কথাও মুভিটাতে নাই। তার উপর বির শ্রেষ্ঠদের অবদানগুলোও ঘটনার বর্ণনায় বাদ পরে গেছে। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীর অবদানের কথাও বলা হয় নাই। এসব বাদে পুর মুভিটা মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতার চিত্রটি সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।

আমরা যাও বা কিছু বুঝি স্বাধীনতা যুদ্ধ সম্পর্কে বর্তমানের প্রজন্মগুলোর অবস্থা বলাই বাহুল্য। তারা প্রযুক্তির ভয়ঙ্কর খপ্পরে পরে অতীত নিয়ে জানার আগ্রহই হারায়ে বসেছে বলে মনে হয়। তাদের কাছে স্বাধীনতা যুদ্ধর ভয়াবহতা ব্যাখ্যা করলেও তা তারা অনুধাবন করতে পারে বলে মনে হয় না। মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে নিয়ে গিয়েছিলাম আমার ছেলে মেয়েদেরকে। ওরা এত ছোট যে তেমন কিছু বুঝার কথা না। ওখানে পাক বাহিনীর একটা ওয়্যারলেস রেডিও বার্তা আছে যাতে ঊর্ধ্বতন এক পাক অফিসার বলছে আজ কয়টা মুরগি শিকার করলা, আর যত জনকে পাক সেনারা মেরেছে তা শুনে বাহবা দিল অধস্তনদের। এই যাদুঘরেও দেখলাম মাত্র একটা স্টলে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ছোট্ট একটা উল্লেখ রয়েছে, এর বেশি কিছু নয়। আজ যদি বিপক্ষ দল ক্ষমতায় থাকতো তা হলে আবার স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বিষয়টাকে এতটাই প্রাধান্য দেয়া হতো যেন ওটাই পুর যুদ্ধটার সবকিছু হয়ে যেত যেটা আবার অতিরঞ্জন। এই পক্ষপাতিত্বর ভারসাম্য নাই বলেই নতুন প্রজন্ম দ্বিধায় পরে যায় প্রকৃত সত্যটা জানার ক্ষেত্রে। বাঙ্গালীদের মধ্যে পক্ষপাতিত্বের এই বাড়াবাড়িটা আসলেই সকল সৌন্দর্যকে নষ্ট করে দেয়। সত্য যা, যেই সত্যের যতটুকু কৃতিত্ব যার তাকে ততটুকু গুরুত্ব দিয়ে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়া উচিত। এটা একটা ঐতিহাসিক দায়িত্ব প্রতিটি নাগরিকের জন্য।

পাশ্চাত্যর নির্মিত গান্ধি মুভিটা না দেখলে মোহনচাঁদ করমচাঁদ মাহত্মা গান্ধি সম্পর্কে আমার ধারণাই পূর্ণ হতো না। তাকে নিয়েও নানা কুট তর্ক আছে, তার মৃত্যুর জন্য যে উগ্র হিন্দুবাদীরা দায়ী তা নিয়েও অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করে থাকে। আমার কথা হলো মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক গুলো খণ্ডের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বই লেখা হয়ে গেছে। শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান নিয়েও প্রচুর বই বিভিন্ন গ্রন্থানালয়ে বা পাঠাগারে প্রেরণ করাও হয়েছে। গবেষণা পত্রও প্রকাশিত হয়েছে অনেক কিন্তু চলচ্চিত্র এমন একটা মাধ্যম যা সেই সময়কার বাস্তবতাকে সিমুলেট করে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ৬ দফা, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান তার পর ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ যে পর্যায়ক্রমে ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রবাহ তা বর্তমান প্রজন্মের কয় জন জানে। একই ভাবে স্বাধীনতা পরবর্তী বেশ কত গুলো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা প্রবাহ যেমন খালেদ মোশারফের মুত্যু, কর্ণেল তাহের এর বিচার, শেখ পরিবারকে হত্যার জঘন্য ইতিহাস, চার নেতার জেল হত্যা, জিয়াউর রহমানের উত্থান ও পতন, এরশাদের উত্থান ও পতন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রবর্তন ও তিন টার্ম পরে তা’র পরিবর্তন ইত্যাদি ঘটনা প্রবাহ সমূহ চলচিত্রের আকারে উঠে আসা উচিত। এখনকার প্রজন্মর অনেকে ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস না বিজয় দিবস এই বিষয়েই নিশ্চিত হতে দ্বিধায় পরে যাবে। এরা ২৬ খণ্ড না ৩২ খণ্ড স্বাধীনতার ইতিহাস পরার প্রজন্ম নয়। এরা প্রযুক্তিতে অনেক উন্নত, সব কিছু মাল্টিমিডিয়ার আদলে সংক্ষেপে ও দ্রুত দেখতে ও বুঝতে চায়। বাবার কষ্টার্জিত বিপুল সম্পদে বড় হওয়া সন্তানেরা যেমন সম্পদের মর্যাদা বুঝে না তেমনি এই প্রজন্ম জানে না কত সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এই স্বাধীনতা। এটা তাদের জানাতে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ একাধিক চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া উচিত বলে আমি মনে করি। 

এডিট ও আপডেট হিস্ট্রিঃ ১৬জুন২০২৩

 

No comments:

Post a Comment