তারেক হোসেন চৌধুরী (ওপেল) এর অনুকাব্য
Pen Name: T.H. Chowdhury
এখনও কবিতা লিখি,
খাতা খুলে খুলে দেখি,
ছন্দেরা আনন্দ করে,
খেলে পুরো পাতা জুড়ে-
তুমি কি মনের ভুলে
একবার দেখবে চোখ তুলে?
প্রেম নেই, তবু আছে ছন্দ !
উপেক্ষিত ফুলের নিষ্ফল সুগন্ধ।
----------২৯-৮-২০২২
চিড়িয়াখানার গল্প
একটি চিড়িয়াখানার গল্প,
শুনবে?
সময় আছে কি অল্প?
চলবে?
যেখানে রাত হয়, দিন হয়
হয় বৃষ্টি,
আছে চিত্রল, আছে ময়ুর,
সব সুন্দর সৃষ্টি!
আছে আকাশ, বহে বাতাস
রাতের নক্ষত্র,
আছে বাঘ, আছে খাটাশ
চিড়িয়া সর্বত্র।
সবাই খাঁচায় থাকে
করে না দৌড় ঝাপ,
সবাই ভদ্র থাকে
বন্যতা হেথা পাপ।
একটি চিড়িয়াখানার গল্প,
শুনবে?
সময় আছে কি অল্প?
চলবে?
এই মহাসুখী খানায়
আমিও এক চিড়িয়া,
কেউ নাই আমারে বাঁচায়
খাঁচাটি ছিঁড়িয়া ?
১০-১২-২০২১
------
খাঁচা তো বিনি সুতোয় বোনা
কেন তুমি ছিঁড়ে বেরুচ্ছোনা?
৪-১০-২০২২
বানর তো টপকায় দেয়াল,
দেয়ালেরও পরে আছে খাঁচা--
করে নি সে খেয়াল!
২০২১
আমি বাঁচতে না চাইলেও
তোমার জন্য বাঁচতে হবে?
তুমি বাঁচতে না চাইলেও
আমার জন্য বাঁচতেই হবে।
এ জীবনে আর নিজের জন্য
হল না বাঁচা ।
আমরা দুজনা দুই খাঁচা !
২৬-১২-২০২১
-------
২০১৯
ঐ ঠোঁটে আটকে আছে দৃষ্টি
কী মিষ্টি কী মিষ্টি
চোখের মনিতে টলটলে দৃষ্টি
যেন বর্ষার প্রথম পশলা বৃষ্টি।ভেবেছিলাম ফুটাবো ফুল
শুকিয়ে গেলাম শিকড়ে,
যা করেছি সব করেছি ভুল,
হলো না উঠা আর শিখরে !
১৪-০৮-২০২৫
তাহাকে বলিলাম তুমি
দিও মোর কলমখানা চুমি,
টুকটাক কবিতা আমি লিখব…
কলম চুমিতে গিয়ে যে সে
হাতে চুমিলো হেসে,
কবিতা হইয়া গেলো মহাকাব্য!
২৩-১২-২০২১
(১)
খুঁজিতেছি আমি তার চুড়ি
জন্ম জন্মান্তর ধরি-
নিটোল সে হাতে মানাবে কি কাঁচ?
বিধাতার হাতে গড়া নিখুঁত সে ছাঁচ!
খুঁজিতেছি খুঁজিতেছি কতকাল ধরি
সোনা নয়, রূপা নয় - সে কাঁচের চুড়ি!
শিউলীর গন্ধমাখা সে নিটোল হাত
রেশমী চুড়ির খোঁজে কত কত রাত,
নির্ঘুম হাঁটি আমি পাথুরে পথে
পারি দেই প্রান্তর রথে মহা রথে।
নূহের নৌকায় ভেসে ইতিহাস গড়ি
কোথাও পাইনি তবু রেশমী সে চুড়ি!
নির্বাণপ্রাপ্ত হয়ে বুদ্ধ হয় শ্রান্ত,
আমার চুড়ির খোঁজ চলে অক্লান্ত !
একদিন কাঁচের এক আয়না খুঁজে পাই,
উদ্ভ্রান্ত চেহারায় সেদিকে তাকাই…
টুং টাং ভংগুর চুড়ি রেশমী,
কোথায় খুঁজিয়া মরি — সে চুড়ি যে আমি !
(২)
গল্পটি সহস্র বছর আগেকার
বিজ্ঞানীরা করেছে আবিষ্কার,
চকচকে টুং টাং কাঁচ।
তারপর কে বানালো ছাঁচ-
কোন এক শিল্পীর মহা কারিগরি,
ঝিলমিল টুং টাং রেশমী চুড়ি !
কত কত বছর
পেরুলো তারপর,
সময় চলেছে তবু কাটে না সময়,
সবাই অপেক্ষায় - কবে আসবে সে সময়-
প্রেমিক পড়াবে চুড়ি তোমার ঐ হাতে,
মহা প্রলয় থেমে আছে সেই অপেক্ষাতে।
তুমি যত নীরবেই কাঁদ
লুকানো থাকেনা জল,
ভিজে যায় আমার ছাদও,
এতো হৃদয় হারানোর ফল !
৩১-১০-২০২২
---
আমি তো পরিশ্রান্ত নই, তবে
অবসন্ন হওয়তো বা,
মনে পরে না শেষ হেঁটেছি কবে
প্রচ্ছন্ন স্মৃতি তা।
আমি তো কবি নই- মালয় সাগর
বা সিংহল দ্বীপ ঘুরিনি,
দেখিনি ভোরের ঘাস বা ইষ্টক নগর।
ঘুরিনি কোথাও - কোথাওই ঘুরিনি।
উপেক্ষা আর অপেক্ষায় আমি ক্লান্ত,
কবে শেষ হবে অপেক্ষার পালা?
আমি নই পরিশ্রান্ত,
আছি শুধু বসে, পাশে জানালা খোলা !
১৪-১২-২০২১
-----
হেঁটেই চলেছি
কোটি বছর হয়ে গেছে পার
ভেবেছিলাম এবার হল শেষ
হাঁটা আমার।
কতই তো হলাম পার পাহাড় নদী সাগরের পাড়!
এবার পালা প্রস্তুতি নেবার
জীবনের শেষ দেখবার।
করে এসেছি পার,
জীবনের কত শান্তি কত ক্লান্তি কত ঘাত প্রতিঘাত
সুতরাং এবার জীবনের পথ চলা
শেষ নির্ঘাত !
কোটি বছর হয়ে গেছে পার
ভেবেছিলাম পথ শেষ এবার।
হাঁটার ক্লান্তি লয়ে পথ পাশে দেখে সাদা ফুল,
কি জানি কি হয়ে গেল ভুল!
হাসনা হেনা মনে করে
এগিয়ে গিয়েছি আমি
যেমন যায় সৌরভে মাতোয়ারা সাপ
বুঝিনি আমার পাপ,
হাতে নিতে দেখি এ তো বসরার সাদা গোলাপ!
সাদা তার পল্লব, কালো তার কাঁটা
না দেখে সে সৌন্দর্য পার করেছি এতটা হাঁটা ।
কোটি বছর হয়ে গেছে পার
হৃদয়ে কত রক্ত থাকে তা জানা ছিল না আমার!
ফুটিয়ে কাঁটা ঝরিয়ে রক্ত সড়িয়ে পায়ের নীচের শক্ত
মাটি-
আমি আবারও হাঁটি।
কোটি বছর হয়ে গেছে পার
শেষ আর হল না আমার হাঁটার।
৩-১১-২০২২
----
উপেক্ষিত অপেক্ষা
অপেক্ষা করতে পারি
এক শত বছর
অথবা সহস্র বৎসর
অপেক্ষা করতে পারি এক কোটি বছরও।
অপেক্ষায় আমার ক্লান্তি নেই।
একদিন একা প্ল্যাটফরমে দাঁড়িয়েছিলাম।
ট্রেন লেট করেছিল এক ঘন্টা।
একদিন দুই কিলোমিটার পথ
জ্যামে বসে পাড়ি দিয়েছি
দেড় ঘন্টায়।
বিলাতের রানীকে
রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্বাগত জানাব বলে
সহপাঠিদের নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম দুই ঘন্টা
তপ্ত রাজপথে।
অপেক্ষায় আমার ক্লান্তি নেই।
বাবার হাতে লাগানো
শিউলি গাছটা আর ফুল দিচ্ছে না পাঁচ বছর হল।
নতুন চারাগুলোয় ফুল আসবে
অপেক্ষায় আছি।
আমি অপেক্ষা করতে পারি বহু বছর।
বহু বছর হল
হিসেব নেই কত বছর,
কেউ আর চিঠি দেয় না। আমিও দেই না কাউকে।
জানিনা কে আমাকে লিখবে!
অপেক্ষায় আছি।
আমি অপেক্ষা করতে পারি বহু বছর।
তুমি যদি চাও
আমি অপেক্ষা করতে পারি এক কোটি বছরও।
অপেক্ষায় আমার ক্লান্তি নেই।
সময়কে স্থির করে রেখে
যেমন অপেক্ষায় থাকে অশ্বত্থ বৃক্ষ।
এক কোটি বছর
কেটে যাবে সহজেই।
মাত্র তো এক কোটি।
ধমীনতে রক্ত হয়ত জমে যাবে।
ক্ষতগুলোর রক্তক্ষরণ যাবে থেমে।
স্থুল হয়ে যাবে সব যা কিছু সূক্ষ্ম ।
এক কোটি বছরে
হৃদযন্ত্রের স্পন্দন
হয়ত হয়ে যাবে ধীর।
আকাশের কিছু তারা খসে গিয়ে কমে যাবে।
কিছু নদীর প্রবাহ যাবে থেমে।
কিন্তু তুমি ফিরে এলে
এক কোটি বছরে
আমার হৃদয়কে পাবে তুমি
টসটসে টগবগে তপ্ত রক্তে ভরপুর।
এক কোটি বছর তো অল্প কিছুদিন
অল্প কিছুদূর।
তুমি যদি চাও
অপেক্ষায় আমার ক্লান্তি নেই।
আমি অপেক্ষা করতে পারি এক কোটি বছরও।
অথবা যদি বল,
অপেক্ষা করব আরও কিছু কোটি বছর।
একটি একটি করে প্রতিটি তারা
খসে খসে শেষ হতে
লাগে যত কোটি বছর।
৩-১১-২০২২
----
সুতোয় বাঁধা পাখি
প্রতিদিন কাব্য করি
কিছু লিখি সুখের কথা
দুখের কথা।
কিছু লিখি নাটুকে ভাবে
যেন ভাব কত!
যেমন যাত্রার বিবেক গায়
ভাঁড়ের মত!
প্রতিদিন কত কথা
মাথায় ঘুরে ঘুড়ির মত।
যদি বাতাস হতে তাদের
খপ করে না ধরি,
ভেসে ভেসে হারিয়ে যায়
যেন সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি।
ঘুড়ি উড়তে লাগে সুতো,
কিন্তু সুতোয় বাঁধা পাখি
পারেনা উড়তে।
মনকে কি তাহলে সুতোয় বাঁধবো?
নাকি দেব ছেড়ে নীলাকাশে ঘুরতে?
২৬-১০-২০২২
----
১০-১২-২০২২
বন্ধ ঘড়ি
এভাবেই কেটে যাবে জীবন,
এভাবেই কেটে যায় হায়-
বহুতল দালানের জানালায়
জীবনের সঙ্গীরা থাকে না সাথে,
থাকে স্বচ্ছ কাঁচের উইনডো ফ্রেমে
নিঃশব্দ তারায় তারায়।
শুধু নিঝুম রাত্রির একাকী ঘড়ি,
আমার মগজে করে টিকটিক।
এভাবেই কাটছে জীবন
চলছে না শরীর তবু সচল এ মন।
যেদিন পড়বে চোখে ছানি
জানালায় তারারা হবে ঝাপসা,
সেদিনও টিকটিক করে
স্লো হয়ে আসা ঘড়ির কাঁটা
বেঠিক সময় দিয়ে বলবে ঠিক, ঠিক।
এভাবেই কাটিয়ে জীবন
চামড়ায় পড়বে আঁকিবুকি ভাঁজ,
হাত, কান, চোখ করবেনা আর কাজ।
নিঃশব্দ অন্ধকারে আমার মন ও মগজে
কে যেন শব্দ করে যাবে টিকটিক।
(১২) ২০-১-২০২৪
চোখের জলে কাব্য জ্বলে
ফুলের গন্ধে জ্বলে না,
কষ্ট পেলে কলম চলে
সুখে কলম খোলে না ।
(১১) ২৪-৭-২০২৩
কন্ঠ তার
কৃষ্ণসাগরের গভীর থেকে
ভেসে আসা বুদবুদের মত
বিষন্ন,
চোখে তার
শুকিয়ে আসা ধুসর ক্লান্তি
গোবি মরুভূমির মত
আসন্ন,
তবু সে বলেছিল,
দেখা হবে কোনোদিন।
সে আশায় আমি শ্বাস টেনে
বসে আছি প্রতিদিন।
(১০) ৯-২-২০২৩
পৃথিবী ‘পরে বারবার চাঁদ
এসে চলে যায় চুমি,
দেখেছ কি তা তুমি?
রুক্ষ পৃথিবী ধুলি ধুসরিত
ম্লান বয়সের ভারে,
চাঁদ কভু ছাড়ে না তারে!
সোনার খাঁচায় বন্দী আমি
চারিদিকে পাতা ফাঁদ,
… তুমি কি আমার চাঁদ?
(৯) - ১১-৮-২০২২
হাতে চা,
জানালায় কৃষ্ণচূড়া,
তুমি দৃষ্টিতে
প্রকৃতি ভেজা বৃষ্টিতে …
(৮) -১৭-১২-২০২১
বলেছিলে তুমি
আঁকিতে বৃষ্টি,
আঁখি পানে মোর
দাও না দৃষ্টি;
যত ঝিরঝির বারি
ঝরে হেথা,
কোন জলধরে
পাবে তা কোথা?
(৭) – ০৪-০৯-২০২২
মনে শুধু তুমি যদিও তুমি আজ দূরে
সাবধানে চলিও এ বৃষ্টিভেজা ভোরে,
শরীরটা রেখো ঢেকে আঁচলটা তুলি,
ভিজে যেও না যেমন ভিজে ভোরের শিউলী।
(৬) - ৭-১১-২০২২
রাত জাগে প্রতিদিন চাঁদ,
জোছনায় প্রতিদিন ভাসে না তো ছাদ।
আমিও চাঁদের মত জেগে থাকি রাতে,
কখনও জীবন উজল হয় না জোছনাতে।
চাঁদ নয় আমি যেন নিশাচর প্রাণী,
আঁধারেরই মাঝে আমি বেঁচে থাকা জানি।
(৫) - ৯-১১-২০২২
এখন অনেক রাত জানি,
সময় এখন বন্ধ করার
আমার কলম খানি।
দুচোখ বুজে এখন আমার ঘুমিয়ে যাওয়াই ঠিক।
জীবন কখনও বুঝে না হায়
কী ঠিক আর কী বেঠিক!
(৪) - ১৭-১২-২০২১
এ নগরে একদিন বৃষ্টি ঝরবে
রিকশা চলবে ভেজা পথে
একদিন এ নগরে দৃষ্টি পড়বে
বিধাতার, অলস স্বর্গ হতে।
সেইদিন যদি তুমি স্খলিত পদে
বেরিয়ে এসে উঠো রিকশায়,
আমিও বেরুবো আড়ষ্ঠ গুহা হতে।
একদিন ভিজলে কী বা এসে যায়।
(৩) - জুলাই ২০২২
কত কবিতা আমি লিখে যাই মনে
খাতাতে তা আর তুলি না।
আমার কোনো যে পাঠক নেই
তাই ভুল আর করি না।
(২) - ৭-৬-২০২২
পাঠক নাই তবু লিখি,
একা বেঁচে থাকা শিখি।
(১) - ৬-৬-২০২২ পূনঃলিখন ১৭-৬-২২
চাতক বৃষ্টি চায়,
চায় না হয় তো ডাহুক,
এখন বৃষ্টিরই সময়,
কেউ না চাইলেও পড়ুক।
---------------
৩-১-২৫
ভেবেছিলাম ফুটাবো ফুল
শুকিয়ে গেলাম শিকড়ে,
যা করেছি সব করেছি ভুল,
হলো না উঠা আর শিখরে !
14-8-24
তাহাকে বলিলাম তুমি
দিও মোর কলমখানা চুমি,
টুকটাক কবিতা আমি লিখব…
কলম চুমিতে গিয়ে যে সে
হাতে চুমিলো হেসে,
কবিতা হইয়া গেলো মহাকাব্য!
23-12-21
খুঁজিতেছি আমি তার চুড়ি
জন্ম জন্মান্তর ধরি-
নিটোল সে হাতে মানাবে কি কাঁচ?
বিধাতার হাতে গড়া নিখুঁত সে ছাঁচ!
খুঁজিতেছি খুঁজিতেছি কতকাল ধরি
সোনা নয়, রূপা নয় - সে কাঁচের চুড়ি!
শিউলীর গন্ধমাখা সে নিটোল হাত
রেশমী চুড়ির খোঁজে কত কত রাত,
নির্ঘুম হাঁটি আমি পাথুরে পথে
পারি দেই প্রান্তর রথে মহা রথে।
নূহের নৌকায় ভেসে ইতিহাস গড়ি
কোথাও পাইনি তবু রেশমী সে চুড়ি!
নির্বাণপ্রাপ্ত হয়ে বুদ্ধ হয় শ্রান্ত,
আমার চুড়ির খোঁজ চলে অক্লান্ত !
একদিন কাঁচের এক আয়না খুঁজে পাই,
উদ্ভ্রান্ত চেহারায় সেদিকে তাকাই…
টুং টাং ভংগুর চুড়ি রেশমী,
কোথায় খুঁজিয়া মরি — সে চুড়ি যে আমি !
গল্পটি সহস্র বছর আগেকার
বিজ্ঞানীরা করেছে আবিষ্কার,
চকচকে টুং টাং কাঁচ।
তারপর কে বানালো ছাঁচ-
কোন এক শিল্পীর মহা কারিগরি,
ঝিলমিল টুং টাং রেশমী চুড়ি !
কত কত বছর
পেরুলো তারপর,
সময় চলেছে তবু কাটে না সময়,
সবাই অপেক্ষায় - কবে আসবে সে সময়-
প্রেমিক পড়াবে চুড়ি তোমার ঐ হাতে,
মহা প্রলয় থেমে আছে সেই অপেক্ষাতে।
No comments:
Post a Comment