আমি সেই ক্লাস ফাইভ থেকে চশমা পড়ি তাই আমার চার চোখ, আমার চতুর্থ নয়ন দিয়ে আমি কিছু দেখেছি আর বিত্তশালী সমাজের কিছু গোপন কথা শুনে ফেলেছি। চুপিচুপি আপনাদের বলছি আর ফিস ফিস করে বলে রাখি শুধু আপনাকেই বললাম, অন্য কাউকে বলবেন না যেন এই সব অকল্পনীয় বাস্তবতার কথা। এর কোনটাই আমি প্রমাণ করতে পারবো না কিন্তু এগুল ঢাহা সত্য বলে শুনেছি, কিছু কিছু চতুর্থ নয়নে দেখেছিও। বিষয়গুলো কোন কোন সময় মারত্বক বিরক্তিকরও লাগতে পারে কিন্তু যদি এই সত্যতা সত্য সত্যই বাস্তব হয় তবে আপনার বিশ্ব দর্শন পাল্টেও যেতে পারে। অনেকের কাছে মনে হতে পারে এগুলো ওপেন সিক্রেট, সবাই জানে কিন্তু বলে না। কিন্তু আমার কাছে এগুলো অজানা ছিল আর জানতে পেরে বা দেখতে পেরে মারাত্মক ভাবে ধাক্কা খেয়েছি সময় সময়।
সমাজ স্থবির নয় তাই এর চলমান বিক্ষোভও স্থির থাকে না। চোখ খোলা রাখলে নতুন নতুন গল্প পাওয়া যায় অভ্যন্তরীণ চলমান নিষ্পেষণের। সমাজ সম্পর্কে ইসলাম ধর্মে যা বলে তা যে কোন পরিচিত সমাজ বিজ্ঞানীর বলা কথাকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা রাখে। হাদিসে সাফিনা বা দুই তলা নৌকর হাদিসটি যারা জানেন তারা আমার সাথে একমত হবেন। মারগারেট থ্যাচারের দেয়া সমাজের সঞ্জা “কতক ব্যক্তির সমষ্টিতে গড়া এক সম্মিলিত সৌধ” কিংবা সমাজবিজ্ঞানীদের দেয়া সঞ্জা যে, সমাজের ব্যক্তিসকল সাইকেলের চাকার স্পোকের মত সব সংযুক্ত আর একাকার। এই দুই ব্যাখ্যার কোনটিই বিতর্কে দ্বিতল নৌকার হাদিসের ব্যাখ্যার চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করতে পারবে বলে মনে হয় না। পুঁজিবাদী সমাজ যখন অর্থনৈতিক ভাবে ফ্লাই করে, মানে চলতে চলতে যখন প্লেনের উড়ার মত উড়তে শুরু করে তখন সমাজের নিচের স্তরের মানুষ গুল চিড়া চেপটা হয়ে যায়। যা খালি চোখে দেখা যায় না মোটেও। মাদার তেরেসা স্বপ্নে স্রষ্টার কাছ থেকে নির্দেশ পেয়েছিলেন বলে দাবি করতেন যে গরিবদের মধ্যেও যারা হত দরিদ্র তাদের সেবা করার। ভারতবর্ষে এসে তিনি তাই করেছিলেন জীবনের শেষ দিনটা পর্যন্ত। পুঁজিবাদী সমাজ সেই গরিবদের মধ্যে গরিব তৈরির একটি আধুনিক সক্রিয় যন্ত্র বিশেষ। নিচের গল্পগুলা তার প্রমাণ বহন করে যা এই পুঁজিবাদী সিস্টেমের বাই প্রডাক্ট। শহর ভরা গাড়ির ঝাঁক, ট্রাফিক পুলিশ ভিআইপিদের জন্য রাস্তা ফাকা করতে হিমসিম খেয়ে যায় অথচ এই বিলাস বহুল নাগরীকেরা কাদের পায়ের নিচে পিষে মেরে ফেলছে জানতেও পারে না। ওরা মরছে তো ওদের দোষেই, পড়াশুনা করেনি, পরিশ্রম করতে চায় না তাই তাদের এই দশা আর আপনার বাবা আপনাকে ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করে প্রাইভেট মেডিকেলে পড়াতে পেরেছেন বলেই না আপনি আজ লক্ষ টাকা উপার্জন করে গাড়ি চড়তে পারছেন। অকাট্য যুক্তি খন্ডায় কার সাধ্য। খণ্ডাতে চাই না তবে দেখতে তো দোষ নাই করা পিষ্ট হচ্ছে কাদের পায়ের নিচে। যাদের তৃতীয় নয়ন নয় চতুর্থ নয়ন আছে তারা হয়তো সত্যটা দেখতে পারবেন।
প্রায় ১০ কি ১২ বছর আগে আমি সকালে মিরপুর থেকে সিএনজি ট্যাক্সি কিংবা মিশুক (এখন আর তেমন দেখা যায় না) এ করে মতিঝিল অফিস করতে যেতাম। এক মিশুক ড্রাইভার আমাকে কয়েকদিন পর পরই নিয়ে যেত তাই সে বেশ পরিচিত হয়ে যায় ও সে চলার পথে কথা বলে আমার সাথে। একদিন বলছিল আমাদের সমাজটা নষ্ট হয়ে গেছে, এক মেয়েকে সে মিশুকে তুলেছে যে সিগারেট খায় আর টেলিফোনে জিজ্ঞাসা করছিল একজন না দুজন, দুজন হলে সে যাবে না, এ সব কথা। সেই মেয়ে শেরাটন হোটেলের কাছে নেমে যায়। একবার আমার সব কাজিনদের নিয়ে বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সে গিয়েছিলাম ওদের সিনেমা দেখাতে। এক উগ্র চরিত্রের মেয়ে টিকেট কিনার সময় থেকেই আমাকে ফলো করছিল। ছবি দেখার সময় সে আমার পাসের সিটে ফোনে কার সাথে যেন কক্সবাজার যাওয়ার আলাপ করলো, আমি বিরক্ত হচ্ছিলাম সিনেমা দেখতে সমস্যা হচ্ছিল। হঠাত সেই মেয়ে আমার হতে হাত রাখলো। বাধ্য হয়ে পিছনের খালি থাক সিটে চলে গেলাম। এক বন্ধুর কাছে শুনেছি পাঁচ তারা হোটেল গুলোর রেস্টুরেন্টের বারে ওয়েট্রেসদের পোশাক সন্ধ্যা থেকে পরিবর্তিত হতে থাকে। গভীর রাতে তা স্কার্ট থেকে মিনি স্কার্টে এসে শেষ হয়। এটা হলো বড় লোকদের পানশালার কালচার। পাঁচ তারা হোটেলে তো সাধারণ মানুষ যাওয়ারই চিন্তা করে না, কিংবা যাওয়ার সামর্থ্যও থাকে না তাদের। ওখানে অতি নিম্নবিত্ত কিশোরী থেকে মাঝ বয়সী নারীরা এমনি এমনি বসে থাকে আর তাদের সাথে খানিকক্ষণ আলাপ চারিতা করে বড় বড় পয়সাওয়ালারা তাদের হাতে হাজার কয়েক টাকা এমনি এমনি গুজে দেয়। কেউ কেউ একধাপ বেড়ে অতিরিক্ত অন্তরঙ্গতা সুযোগে তাদের রুমেও নিয়ে যায়। এগুলো হর হামেশাই হচ্ছে তাও বহু বছর আগে থেকেই সাধারণের চোখের অন্তরালে। এ দেশে টাকা দিলে বাঘের দুধও মিলে। সে যাই হোক নিম্ন বিত্ত কিন্তু উচ্চ মূল্যের পোশাক পরিহিতা ওই মেয়েটির রোজগারের একটা পথ সে পায় এতে করে। বেচে থাকার একটা উপায় এটা তার কাছে। অর্ধশিক্ষত বা অশিক্ষিত এসব মেয়ে বা মহিলাদের জন্য এ সমাজ এর চেয়ে ভালো রোজগারের আর কোন পথ খোলা রাখেনি তাই এটা সমাজে আদিতেও ছিল এখনও চলমান আছে। এদের ব্যাকগ্রাউন্ড জানলে আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে তাদের আপনি দোষ দিতে পারবেন বলে মনে হয় না। হ্যাঁ তারা চাইলে অন্য কোন পথে উপার্জন করতে পারতো কিন্তু তা তারা পারে নি বরং শহরের মাকড়শার জালে আটকা পরে তাতে বাচার একটা উপায় খুঁজে নিয়েছে। এদের কয়েকটা গল্প শুনলে বুঝতে পারবেন এদের বাস্তবতাটা আসলে কিরকম বীভৎস ও নিষ্পেষিত। নিচে কয়েকটা উদাহারন দিলাম।
২০০৯ এর ঘটনা হবে, আমেনার মা অসুস্থ, বাবা দেখে না, মা’এর জন্য তার একমাত্র মেয়ে ঢাকায় চলে এসেছে, কাউকে চিনে না, তার দুটি দুর সম্পর্কের বোন সিনেমা জগতে কাজ করে, তারা তাকে দেহ ব্যবসায় নামায়ে দিল, টাকাও দেয় না ঠিক মত, তাদের দেখতে যেমন সুন্দর অবস্থাও অনেক ভাল, বড় বড় লোকজনের সাথে চলা ফেরা। এরকম অবস্থায় মেয়েটি বাড়ি ফেরত যায় কিন্তু করবে টা কি, মা’র চিকিৎসার টাকা কে দিবে, ভিক্ষা করে কি চলা যায়। তাকে আবার আসতে হয়, তবে এবার আর সেই বোন গুলর কাছে নয়, বরং এক মহিলার নম্বর সংগ্রহ করে রেখেছিল তার কাছে যাবে। ঢাকা এসে সে মহিলাকে আর ফোনে পাওয়া গেল না, সাথে লাগেজ, কোথাও থাকার যায়গা নাই, সেই বোনদের কাছে থাকার সময় এক মেয়ের নম্বর নেয়া ছিল তার নম্বরে ফোন করতে সে আরেক মহিলার কথা জানাল, অপরিচিত সেই মহিলার বাসায় থাকা ছাড়া আর কি উপায় আমেনার। সেই মহিলা তাকে অফিস পাড়ায় নিয় যায়, এখানে সেখানে দেহ ব্যবসা করে যা পায় তার বেশির ভাগই সেই মহিলাই রেখে দেয়। এক স্বনামধন্য ডাক্তার অনেক দুরে সেই সাভারে চেম্বার, তার ওখান যাওয়া লাগে, রুগী দেখার ফাকে ও’রও ডাক পরে, সেই ডাক্তার মহাশয় রুগী দেখার ছলে বন্ধ চেম্বারেই কাজ সেরে নেয়। বিচিত্র অভিজ্ঞতায় চলে মেয়েটার জীবন। এরকম সময় একজন সরাফত সাহেব ওই মহিলার কাছে একজন মেয়ে চায় যাকে সিলেটে নিয়ে যাবে। এর সাথে চলে যায় আমেনা সেই সুদূর সিলেটে, সেখান থেকে প্রত্যন্ত একটা এলাকায়, লোকজন শূন্য একটা ঘরে তাকে রাখা হয়, ঘরটাতে ধারাল সব মারণাস্ত্র, কোন কামারের কারখানর মত, অনেক ছুড়ি, কাছি, রামদা সজ্জিত। যে সিএনজি ট্যাক্সি চালক তাকে ও সরাফতকে নিয়ে এসেছে, সে প্রথম তাকে ভোগ করে ঘুমাতে চলে যায়, সরাফতও চলে গেছে শহরে মেয়েটাকে একা ফেলে রেখে। গভীর রাতে একদল লোক আসে, তারা সারা রাত মদ, জুয়া আর ওকে একের পর এক গ্যাং রেপ করে। পাশেই চাপকল, একজনের পর আরেকজন আসলে ওকে লাথি দিয়ে সরায়ে বলতে হয়েছে, একটু ধুয়ে আসি। রাত পোহায়ে সকাল হয়, লোক গুলো চলে গেছে, সরাফত ভাই এর দেখা নাই, সিএনজি ড্রাইভারটা উঠেছে, ও’র দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে, ও লুকচ্ছে বাথরুমে, কিংবা যেখানে আড়াল পাওয়া যায়। সিএনজি ড্রাইভারটা রক্তচক্ষুতে তা খেয়াল করছে। ভাগ্য ভাল সরাফত ও’কে নিতে এসেছিল আর দৌরে গিয়ে গাড়িতে উঠে এ যাত্রা বেচে গেছে। সেই থেকে সরাফতের সাথেই থাকা, সরাফত এর গোপন ব্রথেলে অনেক মেয়ের সাথে সেও একজন, আজ সে সিদ্ধ হস্ত দেহপসারীনি, বিয়েও করেছে, মাঝে একবার কুয়েতে চাকরীও করে এসেছে। নিজেই উপার্জন করে বিয়ে করেছে, স্বামীকে বিদেশও পাঠিয়েছে । একমাত্র মেয়ের বয়স ছয় কি সাত, নানুর সাথে গ্রামে থাকে। বাবুর মা ঢাকা এসে ফিজিওথেরাপি অফিসে কাজ করে টাকা পাঠায় গ্রামে তাই জানে সকলে। স্বামীটা খুব একটা উপার্জন করতে না পাড়ায় বিদেশ থেকে ফেরত নিয়ে এসেছে তাকে। এখন স্বামীর উপস্থিতিতেই বা অপ্রকাশ্য সম্মতিতেই এ কাজ চলে । এই অতি দ্রুত বলে ফলে গল্পটার কিছু বুঝলেন? এরকম উদ্ভট গল্প শুনেছেন আগে? শুনে না থাকলেও দেখে থাকবেন বোধ হয় কোন নাটকে।
আরেকটা গল্প, মিনারা তার চার বোনের মধ্যে তৃতীয়, দেখতে অন্য সবার চেয়ে সুন্দর হওয়ায় তার বাবা তাকে ১১ বছর বয়সে বিয়ে দিয়ে দিল পাসের গ্রামেই। তারা তাকে পড়াশুনা করাবে কথা দিল, কিন্তু তা না করে তাকে ধান সিদ্ধর ঘরে কাজে লাগিয়ে দেয়া হল, শুধু তাই নয় শাশুড়ি তাকে কথা না শুনলে মারধোর করত । একটা ছেলে আর একটা মেয়ে হওয়া পর্যন্ত তা মেনেই চলছিল মিনারা কিন্তু যখন স্বামী আরেকটা বিয়ে করে আনল তখন আর সহ্য হল না, ঘর ছেড়ে দুটি সন্তান নিয়ে মিনারা তার স্বামীকে ডিভোর্স দিল, থাকবে না আর এত অপমান সহ্য করে। ঢাকায় যাবে, নিজেই একটা কিছু করে বাচ্চা দুটাকে বড় করবে, লেখাপড়া শিখাবে। নিজে পড়াশুনা করতে পারেনি ঠিকই কিন্তু পড়াশুনার মূল্য সে জানে। এই মরার ঢাকা কি তার জন্য গেস্ট হাউজ বানায়ে বসে ছিল? ঢাকায় এসে সেই সরাফতের মত এক জনের ব্রথেলেই তার ঠাই হল। অন্যান্যদের মত গেস্টরা আসে তাদের মনোরঞ্জন করে উপার্জন করা ছাড়া আর কি করার ছিল তার। কিছুদিন গার্মেন্টসে কাজ করেছে কিন্তু ওখানকার ফ্লোর ইন-চার্জরা তাকে উত্ত্যক্ত করতো। অশুভ ইঙ্গিত করতো। একদিন সেই ইঙ্গিতে সে সারা দেয় আর ঢাকার কোন এক ব্রথল হোমে একজনের সাথে চলে আসে। এভাবে সে জানতে পারে এই পথে বড় অংকের অর্থ উপার্জনের উপায় আছে। এভাবে কেটে যায় কয়েক বছর, এরকম সময় এক বড় গার্মেন্টস এর মালিকের সাথে পরিচয়, সে তাকে পছন্দ করে আর তাকে আলাদা করে এই কাজ থেকে সরায়ে নিয়ে যায়। তাতেও দুই বছর চলে গেছে, তার পর তাকে আলাদা বাসায় পুরাপুরি এ কাজ থেকে সরায়ে আনে ঐ লোক। এর মধ্যে মেয়েটা আবার একটা বিয়েও করেছে। কোন এক ফোন ফ্যাক্স এর দোকন মালিক ছোকরা তার সৌন্দর্যে পাগল হয়ে তার দেশের বাড়ি চলে যায় তার ও তার বোনের সাথে। তার পর মেয়ের বাবা মা কে রাজি করে পাকা পোক্ত বিয়েও করে ফেলে। ওই বিয়ে করা পর্যন্তই শেষ কিন্তু কোন খরচই সে দিত না। সেই গার্মেন্টস মালিক তাকে আলাদা বাসা ভাড়া করে রাখলেও এই নতুন বর তাকে সপ্তাহান্তে একবার বাজার করে দিয়ে যায়, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে মিনারা দুই পুরুষের ঘর করে কিন্তু কার বাসাতেই থাকে না। গার্মেন্টসের মালিক তার প্রেমে পড়ে গেছে আর সে তাকে সার্ভিস দেয় নিষ্ঠার সাথে। মিনারা অশিক্ষিত হলেও তাকে শিক্ষিত সমাজে বা উন্নত পরিবেশে সুন্দর মানায়ে যায়। গার্মেন্টসের মালিক তাকে কক্সবাজার এমনকি মালয়েশিয়া ঘুরায়ে নিয়ে আসে, যা চায় তাই কিনে দেয়। ব্যক্তিটির পরিবার আছে, দুই কন্যা সন্তানের জনক সে। রাতে বউ এর সাথে একই বিছানায় অথচ কথা হয় মিনারার সাথে, বিচিত্র এক পরিস্থিতি। এর পরের ঘটনাটা তাই ভয়ংকর। মিনারা ফোন পায় লোকটার, দেখা করতে চায়, সেই ফ্ল্যাট টাতে যা সে কেবল মিনারা আর তার জন্য বরাদ্দ রেখেছে এত দিন। সময় অসময় একান্তে মিলনের ব্যবস্থা। ছোট খাট একটা আলাদা সংসার যেন। ফোন পেয়ে মিনারাও যথারীতি সেখানে যেয়ে ঘর দোর পরিষ্কার করছিল, হঠাত দরজায় কড়া নাড়া মনে হয় সে এসেছে, খুলে দেখে সে নয় তার জায়গায় তার বউ উপস্থিত সাথে অন্য এক লোক। মহিলাটির দাঁত উঁচা, দেখতেও ডাইনির মত। একে একে সে তার সব রাগ ঝেড়েছে মিনারার উপর, মারধোর করেছে, মোবাইল কেড়ে নিয়েছে। ফোনে অন্য লোকটি বলছিল, কেন ওকে মারলে আপনার লাগবে কেন? ও কি আপনার বিয়ে করা বউ? যার মানে হল সেই গার্মেন্টসের মালিকটি জেনে শুনে মিনারকে নেকড়ের খাঁচায় ছেড়ে দিয়েছে। ও’র ফোন ট্যাগ করা ছিল, তাই বউ সব শুনে জেনেই আজ তার প্রতিশোধ নিতে এসেছে। তার নাকি কিছুই করার ছিল না। মেয়েটাকে তার পর তার বউ নানা রকম হুমকি দেয়, তার ভাড়া বাসায় যায়, ছেলে মেয়েদের সামনে অপমান করে, মারধোর করে ও সব শেষে তার মেয়েকেও এই ব্যবসায় নামানর বা নষ্ট করে দেয়ার হুমকি দেয়। উপায়ান্তর না দেখে মিনারা তার সব সঞ্চয় ও ছেলে মেয়েকে নিয়ে তার গ্রামের বাড়ীতে বাবা মা এর কাছ চলে যায় সাথে নিয়ে যায় তার বকলম সাইনবোর্ড স্বামীকে। তার বাবা প্রান্তিক কৃষক কিন্তু সে তার মেয়ের জন্য তার উপার্জনের টাকা দিয়ে ধানী জমি কিনে রেখেছে ও ঘর বানায়ে রেখেছ। সেখানেই থাকবে ঠিক করেছিল মিনারা কিন্তু গ্রামের নির্জনতা আর ভবিষ্যতের অন্ধকার বাস্তবতা দেখে সে ৭ মাসেই হাঁপায়ে যায়। এর মাঝে দু এক মাস পর পর সে ঢাকায় যেত সেই পূরণ ব্যবসায় অর্থ উপার্জনের জন্য। গ্রামে খাওয়া বা থাকার ব্যবস্থা থাকলেও ছেলে মেয়ের পড়াশুনার ও তাদের ভবিষ্যতের কি হবে ভেবে। পুরাণ স্বামীর কাছে ছেলে মেয়েকে রাখতে পারত কিন্তু তাদের অবস্থাও ত ভাল না। আর নতুন স্বামী তো কিছুই করতে জানে না। মিনারা তাকে ২ লক্ষ টাকাও দেয় ব্যবসা করার জন্য, সেই টাকা সে ফেরত ত দেয়ই নাই বরং মিনারার জমি বিক্রি করে বিদেশে যাওয়ার পায়তারা করছিল। মিনারার বাবা সেই লোভী লোকটার দুরভিসন্ধি ধরতে পারে ও মিনারার জমি বিক্রির ইচ্ছাকে নিবৃত করে। মিনারা মনে মনে সেই গার্মেন্টসের লোকটার মত আর কাউকে খুঁজছিল। ঐ লোকটি তাকে রক্ষিতার মত রেখেছিল, যা চাইত তাই পেত, এর কারণে তার অভ্যাসে সৌখিনতা চলে আসে অথচ লোকটিকে সে সেই রকম ভালোবাসতো না, ভাল লাগত তবে ভালবাসত না মন থেকে, তার উপর শেষ সময়ে সেই লোকের স্ত্রীর অত্যাচারে তার শহর ছেড়ে চলে আসতে হয়। দু মাসে একবার যে ঢাকা আসত দেহ ব্যবসা করতে তখন সেই সব লোকদের ডাকতো যারা নেশা দ্রব্য সাথে নিয়ে আসে। মিনারা এ কাজটাকে অপছন্দ করে, কিন্তু কথায় বলে অভাবে স্বভাব নষ্ট। করতে চায় না কিন্তু করতে বাধ্য হচ্ছে। আবার তার দৈহিক চাহিদাও অনেক। সব মেয়ের হয়ত এতটা চাহিদা থাকে না। মনকষ্ট, বিদ্বেষ, অর্থকষ্ট, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ সব মিলে তাকে নেশা করার দিকে ধাবিত করে কিন্তু খুব দ্রুতই সে নেশা করার কুফল বুঝতে পারে। তার একটা মেয়ে আছে, একটা ছেলে আছে, আজ সে পুরাপুরি নষ্ট হয়ে গেলে ওদের কে দেখবে, এই চিন্তাই তাকে নেশা করা থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। মিনারা বর্ডার এলাকার মেয়ে, ছোটবেলা কেটেছে আসামে, দেখতে সুন্দর, তার এ রকম বাস্তবতা হবে কেন।
এবার তাহলে আরেকটা গল্প বলি, অনেকটা একই রকম তবে একটু ভিন্নতা আছে। রাশিদার বাবা একটা হোটেল চালাত মফস্বলে চার বোন দুই ভাই এর মধ্যে সে সবার ছোট, বড় তিন বোনের বিয়ে হয়ে গেছে, ভাইটা মাদ্রাসায় পড়ে। বাবার হোটেল ঋণের দায়ে বন্ধ হবার যোগার, বৃদ্ধ বাবা আর আগের মত পরিশ্রমও করতে পারে না। রাশিদা তাই ঢাকায় আসে চাকরির খোজে, বোনের বাসায় থেকে গারমেন্টস ফেকটরীতে চাকরী করবে তা না করে যা করল তা মনোবিজ্ঞানী আর সমাজবিজ্ঞানীদের জন্য একটি গবেষণার বিষয় হতে পারে। একটা পাতান বিয়ে করে বসল আর কোন এক দুষ্ট নারীর খপ্পরে পরে দেহপশারীনি হয়ে গেল। এ রাস্তায় সহজে উপার্জন করা যায়, গারমেন্টস এর চাকরীতে সারা দিন পরিশ্রম করে মাসে যা আসে তা এই ব্যবস্থায় দু এক দিন পরপর পাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ আছে। মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি থাকলে অনেক কাজই সহজ হয়ে যায়। এ রকম গল্প এ সমাজে হর হামেশাই শুনা যায় আর সবাই তা শুনে হজম করে ফেলে।
অবাক করা বিষয় হলো এ সব মেয়েরা নামাজ পড়ে, কোরআন পড়ে এমনকি তাহাজ্জুদের নামাজও পড়ে বলে শুনেছি আর যারা এদের দালাল তারাও নামাজী কম না। ধার্মীক হয়েও তারা এরকম আচরণ কেন করে সেটা এক বিশাল বিস্ময়। কারণ হতে পারে এটা তাদের কাছে একটা পেশা বই আর কিছু নয়। নামাজ পড়ে হয়তো প্রয়াশচিত্ত করতে চায়। পাশ্চাত্যের অবস্থা সবাই জানে ওখানে এ সব ডাল ভাত এমনকি সরকারী অনুমোদনেও তারা এই ব্যবসা চালায়ে যায়। ওদের দু একটা মুভিও আছে এসব নিয়ে যার মধ্যে একটা হলো গার্ল লস্ট। মুভিটাতে এক মা ও তার মেয়ের করুন কাহিনী দেখান হয়। যেখানে তাদের বাস্তবতাটা তুলে ধরা হয়েছে। মা’ই মেয়েকে বলে যে, এই গেস্টের কাজে আমি গেলে আমাদের এক সপ্তাহের খাবার জুটবে আর তুমি গেলে দু সপ্তাহের খাবার ব্যবস্থা হবে। মেয়েটা পরে তার মার কাছ থেকে চলে যায় আর তার এক ছেলে বন্ধুর সাথে জীবন শুরু করে। সেই ছেলে যে রেস্টুরেন্টে দু জনের কাজ করার ব্যবস্থা করে সেখানে মেয়েটাকে এক জুয়ারি কটূক্তি করায় ছেলেটা মারামারি করে তার পর সে ভল্ট থেকে চুরি করতে গিয়ে মালিকের কাছে হাতে নাতে ধরা খেয়ে প্রচুর মার ধোরের শিকার হয়। মেয়েটা ওর কাছ থেকেও চলে যায় ও এক ব্রথেলে কাজ নেয়। সেখানে কিছুদিন ভাল চলার পর এক পারভারটের পাল্লায় পরে নাজেহাল হয়। এর পরিণামে সেই ব্রথেল থেকে তাদের ডায়মন্ড উপহার দয়া হয় যা তার বয় ফ্রেন্ডের সাথে বিক্রি করতে গিয়ে দেখা যায় তা নকল। এর প্রতিবাদে তার ছেলে বন্ধুটি ওই ব্রথেলে গেলে তাকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়। মেয়েটার আর কেউ থাকে না, তাই সে সাগরে হাটতে হাটতে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। পাশ্চাত্যে এই ঘটনা গুলোর মুভি হয়েছে কিন্তু আমাদের দেশের মেয়েগুলোর কথা নিয়ে কার মাথা ব্যথা নাই। আমাদের দেশীয় মুভি (ছিনেমা) মেকাররা আর বীভৎস রকম যৌন পিপাসু। তারা বলে অশ্লীলতার কোন সঞ্জা নাই, আসলে বলতে চায় অশ্লীলতার কোন সীমা নাই। তাদের কার কার সিনেমা হলও আছে আর তাতে উন্নত মানের গেস্ট রুম আছে যেখানে তারা নায়িকা সদৃশ গ্রামের মেয়েদের নিয়ে এসে ভোগ করে। এক সচিবের কথা শুনেছি যার পুরুষাঙ্গ অপারেশন করে বাদ দেয়া হয়েছে কিন্তু তার নারী আসক্তি এতই প্রবল যে সে তিন চার জন ইডেন কলেজের মেয়েকে বাসায় নিয়ে আসে মহিলা ড্রাইভার দিয়ে গাড়িতে করে তার পর প্রচুর খাবার দাবার এর আয়োজন করে ও তাদের সাথে সারা রাত নাচ গান আর মৌজ মাস্তি করে। এই রকম যৌন বিকার গ্রস্থ লোকের সংখ্যা আমাদের সমাজে কোন ভাবে কম নয়। সবই চলছে পর্দার অন্তরালে।
চরকি অরিজিনাল ফিল্ম যা তিন্নি’র ঘটনা নিয়ে করা তাতেও দেখান হয় যে একটা বড় চার তলা বাড়ির পুরটাই বিত্তশালীদের জন্য ব্রথেল সেইফ হাউজ। এরকম ঘটনা আমাদের সমাজেই ঘটছে। আর পল্টনের সম্রাটের কাছে নাকি ৭০০ দেহপসারীনির নাম ঠিকানা ছিল বা আছে যারা পাঁচ তারা হোটেলে মেহমানদারী করতে যেত, তাও সমাজের রাঘব বোয়ালদের। এক বন্ধুর কাছে শুনেছি মাইক্রো বাসে করে ৭ জন পুরুষ আর ৫ জন মহিলা গেছে বনানীর কোন এক হোটেলে, যেখানে অত্যন্ত সুব্যবস্থায় তরা একাধিকবার একাধিক জনের সাথে সঙ্গী বদল করে অবস্থান করেছে। অনেক জন মেয়ে কন্ট্রাক্টে এক দল পুরুষের একেক জন একেক জনের বউ সেজে কক্সেস বাজার বেড়াতে যায়। এরকম প্রত্যেক ট্রিপে তারা ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা উপার্জন করে। এক বন্ধুর সাথে এক প্রচলিত বারে গিয়েছিলেম দেখতে ওখানে কি হয়। তা যে ঢাকার মধ্যখানে তা বুঝার কোন উপায় নাই। যা দেখলাম তা হলো ওখানে মদ খাওয়ায় কোন বাধা নেই, ভাল খাবারের ব্যবস্থা আছে আর গায়িকাও আছে যে গান গাচ্ছে আর লোকজন টাকা ছিটায়ে দিচ্ছে তার চারদিকে। এক বা দুই জন লোক টাকার ব্যাগ নিয়ে ঘুরছে যদি কার খুচরা টাকা লাগে তা তারা করে দেয়। কয়েকজন মাসল ম্যান আছে যারা কেউ বেশি মাতলামি করলে তা সামলাবে। আর ভিতরের দিকে একটা রুমে পাড় মাতলদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। না দেখলে বিশ্বাসই করতাম না কেউ এ রকম কথা বললে।
কোলকাতার একটা মুভি দেখেছিলাম এসব নিয়ে করা। ওখানে দেখান হয় এক দেহপসারীনিকে এক হকার ছেলে পছন্দ করে কিন্তু সেই দেহপসারীনিকে তার ব্যবসা চালায়ে যেতে এক পুলিশ কনসটেবেলকে মাইক্রোবাসের পিছনে দেহ দান করতে হয় যখন সেই ছোকরাটা বাইরে বসে থাকে। দেখে আমার অত্যন্ত খারাপ লেগেছিল কিন্তু উপরে বর্ণিত আমেনার গল্পটাতে দেখুন তার স্বামী সবই জানে তার পরও যেহেতু সে উপার্জন করতে পারে না বরং এই কাজ করে তার স্ত্রী বেশি উপার্জন করে তাই সে কিছুই বলতে পারে না। এ সব পরিস্থিতিতে বিয়ে কি আর প্রেম কি তা বুঝা খুব শক্ত। তারা ভালই সংসার করছে, দুই সন্তানের বাবা মাও হয়ে গেছে। এসব দেখলে বা জানলে আসলে প্রকৃত বাস্তবতাটা বুঝতে পারা যায়। আর বিস্ময়কর ব্যাপার বছর বছর হজ্জ করে এসে চল্লিশ দিন পার করে তার পর যেই সেই পূরণ অভ্যাসে ব্রথেলে যাওয়া শুরু এমনও শোনা গেছে। সব থেকে বেশি শোনা যায় রাজনৈতিক নেতাদের কথা। সমাজে তাদের প্রভাব এত বেশি যে তারা এসব বিষয়কে করায়ত্ব করে সবার আগে। শিক্ষিত সুশীল সমাজে আমরা যা ভাবি বা দুই চোখে যা দেখি তা সর্বাংশে সঠিক নয়। তৃতীয় নয়ন দিয়ে হয়তো কিছু বুঝতে পারি কিন্তু চতুর্থ নয়নে ধরা পরে সমাজের অত্যন্ত গভীরের নাভিস্বাস উঠা নিষ্পেষণ।
এ ত গেল যাদের অন্ততপক্ষে দেহ টা আছে যা বার বার বিক্রয় করা যায় কিন্তু যাদের তা’ও নাই তারা কি করবে? একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা কি শুধু মাত্র বড় লোকদের জন্যই কাজ করে থাকে? দেশের সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তর কি এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করে না? সেভ দ্যা চিলড্রেন এনজিও পথে ঘাটে কিংবা কোন নোংরা পার্কে অত্যন্ত কম টাকায় যারা দেহ ব্যবসা করে তাদের যাতে এইডস না হয় তার জন্য বিনামূল্যে ঔষধ দিয়ে থাকে ও নিয়মিত চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসে। বিনামূল্যে এইডস পজিটিভ কিনা তার পরীক্ষা করে। সেভ দ্যা চিলড্রেন ছাড়া আর কোন এনজিওর কথা আমার জানা নাই যারা এদের নিয়ে কাজ করে। ছাত্রাবস্থায় জানতাম পুরাণ ঢাকার ইংলিশ রোড আর নারায়ণগঞ্জ এর টান বাজারে দেহপসারীনিদের সরকার বৈধ কৃত ব্যবস্থা আছে। যেখানে যারা কর্মরত তাদের নিয়মিত চিকিৎসা দেয়া হতো। কিন্তু বিএনপি আমলে এসে যখন তাদের সকল প্রকার বৈধতা বাতিল করে দেয়া হলো তখন তা সারা শহরে ছড়ায়ে গেছে বলে আমার ধারনা। আজ নির্দিষ্ট কোন স্থান নয় বরং মিরপুর বলেন, বনশ্রী বলেন আর আরামবাগ বলেন সব জায়গায়ই এরা ছড়ায়ে গেছে। ইতিহাস থেকে জানা যায় এই ব্যবসাকে অতীতে কেউ বন্ধ করতে পারে নাই আর ভবিষ্যতেও পারবে বলে মনে হয় না। সমাজে একদল লোক এরকম থাকবেই যাদের টেস্টেরণ লেভেল বা ডোপামিন লেভেল অতিরিক্ত মাত্রায় সক্রিয়। তারা ভাঙ্গা বেড়া দেখলে মুরগি শিকার করবেই। আমেরিকার মরুভূমির শহর লস ভেগাস কিংবা থাইল্যান্ডের সিন সিটি গুলোতে এরকম ব্যবস্থা আপনা আপনিই হয়ে গেছে। বিবিসি ডকুমেন্টারিতে একবার দেখিয়েছিল বিশ্বের সব থেকে বড় ব্রথেল গুলোর একটা এ দেশেই দৌলদিয়া ফেরি ঘাটে। সেখানে ৫০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যায়ের সকল প্রকার দেহ ব্যবসায়ী থাকে আর বাপ মা সবই জানে তাদের ব্যবসা সম্পর্কে। শুধু জানেই না তারা বিষয়টিকে সমর্থনও করে। এদের খদ্দের মূলত ফেরি ঘাটে অপেক্ষমাণ ট্রাক ড্রাইভাররা। আমার কথা হলো যাকে বা যে বিষয়গুলোকে সমাজ থেকে দুর করা যাচ্ছে না বা সমূলে উৎপাটন করা যাচ্ছে না সে বিষয় গুলোকে শৃঙ্খলিত করে বিধি বদ্ধ করে দেয়া উচিত যাতে করে তা সুস্থ সমাজের ক্ষতি করতে না পারে। এতক্ষণ যা বললাম তা নতুন কোন বিষয় নয়। হুমায়ূন আহমেদ তার “কোথাও কেউ নেই” বিটিভি নাটক সিরিয়ালে তা অনেক আগেই বলে গেছেন। আমার কথা হলো দেশের সরকারের উচিত এ সব লোকদের জন্য ভাল সমাজ থেকে দূরবর্তী অঞ্চলে একটা ব্যবস্থা করে দেয়া।
এডিট ও আপডেট হিস্ট্রিঃ ৩০অক্টোবর২০১৯> ০৭ফেব্রুয়ারী২০২১> ২৮ জুন২০২৩> ১৫জুলাই২০২৩> ১৮জুলাই২০২৩>
No comments:
Post a Comment