Tuesday, February 28, 2023

পৃথিবী আর দ্রুত আবারও বদলে যাচ্ছে

 

পৃথিবী বদলে গেছে, তুমি আমি তেমনি আছি, দুজনে যা ছিলাম আগে। গানের কলি হলেও যতকাল মহাকাল চলমান থাকবে তত কাল এই একই ছন্দে গানটা গাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। পৃথিবীর শুধু নয় এই মহাবিশ্বর আয়ুষ্কাল ১০০ টু দি পাওয়ার ১০০ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক অনুমান দিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন বিখ্যাত বাঙ্গালী ফিজিসিস্ট জামাল নজরুল ইসলাম তার বই “আল্টিমেট ফেইট অফ দি ইউনিভার্স”এ। তাই হঠাৎ করেই বা অল্প কিছু দিনের মধ্যেই সব শেষ হয়ে যাবে ভাববার উপায় নাই। এক এর পর ১০০টা শূন্য বসালে যে সংখ্যাটা হয় সে পর্যন্ত এমনকি তারও পর প্রায় অনন্ত অজানা কাল এটা টিকে যেতে পারে। এখনও অনুমান করার চেষ্টা করছি এই কিছু দিন আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো যা ঘটে গিয়েছে এখন থেকে কিছু আগে কিংবা কতটা আগে তা বোঝার চেষ্টা করছি এবং এটি এতটা দূরে চলে গেছে যে এখন তা অগম্য হয়ে গেছে। জন্মের পর থেকেই পৃথিবীটা পরিবর্তিত হচ্ছেই এবং এর স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য পরিবর্তন অত্যন্ত সাধারণ ঘটনাই বটে। সবকিছুর পরিবর্তন প্রমাণ করে যে সময় অতিবাহিত হচ্ছে। আমি পরিবর্তনের ধরণ সম্পর্কে আমার নিজস্ব চিন্তাভাবনাগুলি সমন্বয় করার চেষ্টা করছি যাতে পরিবর্তনের কোনও সূত্র খুঁজে পাওয়া যায় যেখান থেকে আমরা ভবিষ্যতের ট্রেন্ড লাইন আঁকতে পারি। যা খুঁজে পেতে পারে কেন অতীত আমাদের স্মৃতিতে থাকে অথচ ভবিষ্যৎ থাকে না। আরেকটি বিষয় হলো অতীতে সময় যতটা গতিতে পরিবর্তিত হতো তার গতিবেগ যেন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইদানীং এই পরিবর্তনের হার এত বেশী যে বহু লোক ঠিকঠাক খোজ খবরও রাখতে পারছেন না কখন কি নতুন প্রযুক্তি চলে আসছে আর আমাদের জীবনাচরণ ও সমাজকে আমূল বদলে দিচ্ছে।  

পরিবর্তন বলতে আমরা ঠিক যা বুঝি
গতকাল এবং আজ এবং তার আগের দিন ঠিক কি কি পরিবর্তন ঘটেছে? আমি বিশ্বাস করি এটি একটি সাধারণ যুক্তি যে শুধুমাত্র কিছু জিনিস যা পরিবর্তিত হয়েছে তা হল কিছু ঘটনা ঘটছে এবং সেই ঘটনা সকলের ফলাফলই এই পরিবর্তনকে নির্দেশ করে। আমি বলতে চাচ্ছি যে গতকাল বা পরশু যা পরিবর্তিত হয়েছিল তা সেই দিনগুলিতে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার যোগফল বা ফলাফল। আমার প্রশ্ন হল তাহলে কেন আমরা ক্যালেন্ডারে তাকাই বা ঘড়ির দিকে তাকাই জানার জন্য যে কতটা সময় অতিবাহিত হয়েছে? ঘটনা সকল কি পরিবর্তনের মাপকাঠি হওয়া উচিত ছিল না? আমার চিন্তাভাবনা যতদূর যায়, ঘটনা প্রমাণ করে যে সময় প্রবাহিত হচ্ছে, অন্তহীন অজানা অতীত থেকে অন্তহীন অজানা ভবিষ্যতে। অথবা বলা যায় সময় কোন দিকেই যাচ্ছে না কেবল স্থির এক জায়গায় কেবল পরিবর্তিত হচ্ছে। আশেপাশের লোকেরা অতটা ভাববার চেষ্টা করে না বরং ক্যালেন্ডার এবং ঘড়ি দেখে চলতে থাকে কতটা বাজে এবং কীভাবে সময়কে কার্যকলাপের মাধ্যমে অর্থবহ করে তোলা যায়। কেউ পরিবর্তনকে সহজে গ্রহণ করে আবার কেউ কেউ করে না। কেউ পরিবর্তন আনার চেষ্টা করে আবার কেউ কেউ পরিবর্তনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে। কেউবা তাদের এবং অন্যদের কার্যকলাপের সমন্বিত ফলাফলের মধ্যে পড়ে হাবুডুবু খায়। সম্পূর্ণ সমষ্টিগত কার্যকলাপ এবং তাদের ফলাফল একটি ব্যক্তির চারপাশে সমগ্র বাস্তবতা গঠন করে। ঘটনাগুলি একজন ব্যক্তির উপলব্ধি যোগ্য বাস্তবতাকে আকার দেয়। এই মানব সৃষ্ট পরিস্থিতি যা কেউ একক ভাবে তৈরি করেনি তাতে অংশগ্রহণ করেছিল মাত্র যা তার জীবনে পরিবর্তন এনেছিল বা জীবনকে বদলে দিয়েছিল। জনপ্রিয় ভারতীয় কথা সাহিত্যিক ও সাংবাদিক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য হলো, ভবিষ্যৎ সম্পর্কে যা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় তা হলো পরিবর্তন হবেই, আমাদের সাফল্য নির্ভর করে এই পরিবর্তনকে কতটা আমার নিজের অনুকূলে নিয়ে আসতে পারি তার উপর। 

প্রযুক্তি মানবজাতির মুক্তির জন্য, দাসত্বে আবদ্ধ করার জন্য নয়
(Technology is to liberate mankind not t
o enslave it)
বর্তমান যুগে প্রযুক্তিগত উন্নয়নই বিশাল পরিবর্তন আনছে আমাদের জীবনে, আমরা এখন রবোটিক যুগে বাস করছি, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের প্রাকৃতিক বুদ্ধিমত্তাকে যে কোনো সময় ছাড়িয়ে যাবে। যদি তাই হয় তাহলে জীবন ও জীবনযাপনের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সঠিক পরিস্থিতি কি হবে? ভাল সিনেমা এবং মুভি নির্মাতারা সমস্যাটির উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এবং কিছু সমাধান ব্যাখ্যাও করেছেন। প্রশ্ন হল আমরা এই পরিবর্তনটি মোকাবেলা করতে পারি কি না, উদাহরণ স্বরূপ ধরুন আমরা রোবটগুলিকে ঠিক মানুষের মতোই বানাতে সক্ষম হলাম এবং আমরা তাদের সাথে স্বাভাবিক আচরণ করতে পারলাম, তারপর কি হবে? মানব আত্মার কি কোন অর্থ থাকবে, নাকি আমরা আত্মার ধারণা পরিত্যাগ করে আংশিকভাবে রোবটের মতই নিজেদের মনে করব? এটা প্রায় স্পষ্ট যে নিকট ভবিষ্যতে মানুষ তাদের শরীরে স্মার্ট চিপস, কৃত্রিম যন্ত্রাংশ যোগ করে সাইবর্গে রূপান্তরিত হবে এবং রোবোকপের মতোই উন্নত প্রযুক্তির সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করবে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে গবেষণা চলছে যেখানে তারা একটি নিরাময় কোড দিয়ে ত্রুটিপূর্ণ জিনোম সংশোধন করার চেষ্টা করছে। আমি মনে করি এটি আরও বিশুদ্ধ মানব দেহের জন্ম দেবে। কিন্তু মানব মনের কি হবে? আপনি কি মনে করেন না যখন এই ধরনের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি বাস্তবে পরিণত হলে তখন মনের ধারণাটি অপ্রচলিত হয়ে যাবে? এক সময় শুনতাম তারকা যুদ্ধের কথা, মহাকাশ নাকি ফাইনাল ফ্রন্টিয়ার, অথচ এখন কোল্ড ওয়ার পরবর্তী সময়ে আমার রিমোট কনট্রোল ড্রোন এর মাধ্যমে যুদ্ধ হতে দেখছি। অর্থনৈতিক লেনদেনে অনলাইন পদ্ধতি আর উন্নত হয়ে ব্লক চেইন টেকনোলজিতে ক্যাশ লেস বিশ্বাস যোগ্য লেনদেনের যুগ চলে আসছে। 

নতুন প্রযুক্তি সমূহ যার সাথে এখনও সবার ঠিকঠাক পরিচয় হয়ে উঠে নাই
আমি যখন চাকুরী জীবনের শুরুতে কম্পিটাউর প্রশিক্ষক হিসেবে ট্রেনিং নিয়েছিলাম তখন বলা হয়েছিল, প্রথমেই নতুন টার্মটা না বলা, বরং আগে বলা দরকার কি থেকে টার্মটার উৎপত্তি হলো। অর্থাৎ সরাসরি সঞ্জায় না গিয়ে তার পিছনের কাহিনী টা বলা। তাতে করে শ্রোতাদের মনে যে পূর্ব ধারনা আছে তা’র সাথে এই নতুন টার্মটার সংযোগ সাধন সহজ হবে, অন্যথায় ভুল বুঝার সম্ভাবনা থেকেই যায়। আমি বিষয়গুলোর ধারণা প্রদান করি, নিজে যা বুঝি, বই পত্র ঘেঁটে সজ্ঞা প্রদান আমার উদ্দেশ্য না, বরং এই নতুন প্রাযুক্তিক পরিবর্তন গুলো আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে যে প্রভাব ফেলছে আমাদের মানসিকতার যা পরিবর্তন আনছে তাই বিচার বিশ্লেষণ করি মাত্র। অনেকটা বন্ধুর সাথে আলাপচারিতার মত করে লেখা। তবে এটা হলপ করে বলা যায়, নতুন বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার জন্য পাঠক মনে আগ্রহ সৃষ্টি হবে আর এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কোন বিষয় সম্পর্কে গভীর ভাবে জানার জন্য গুগল মামা তো রয়েছেনই। তাই আমার দৃষ্টি ভঙ্গি অনুযায়ী নতুন যুগান্তকারী প্রযুক্তিগুলো সম্পর্কে কিছু বলবো। (১) ডিজিটাল রিয়ালিটিঃ ডিজিটাল মানে হলো যাতে ভগ্নাংশের কোন স্থান নাই। এই তো যাচ্ছি, কাজটা হয়ে গেছে প্রায় এ সব বলার কোন স্কোপ আর নাই, হয় হ্যাঁ নয় তো না। কোন টালটি বালটির অবকাশ নাই। সাফ সাফ কথা হয় তুমি আমার পক্ষে না হয় বিপক্ষে, মাঝামাঝি থেকে শুধু মজা দেখবা সেই দিন শেষ। এখনকার দুনিয়া তাই ডিজিটাল দুনিয়া। এই ডিজিটাল দুনিয়ায় মানুষের আচার আচরণও তাই স্পষ্ট, তাতে কোন দ্ব্যর্থকতা নাই। (২) অনলাইন রিয়েলিটিঃ ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা দুনিয়াজোড়া তথ্যের প্রবাহকে আলোর গতিতে উন্নীত করে দিয়েছে। করনা বাস্তবতার আগে এই অনলাইন রিয়েলিটি আসায় তা মনুষ্য সমাজে দারুণ কাজে এসেছে। অনলাইন ক্লাসরুমের কথা শুনা যাচ্ছিল আগে থেকেই কিন্তু করনার সময় তা বাধ্যতামূলক হয়ে গেলে। ওয়েব পেইজ আর (এইচটিটিপি) হাইপার টেক্সট টার্মিনাল প্রটোকল এই সেদিনকার কল্পনা আজ কড়কড়া বাস্তবতা। ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটকল) নিয়ে কত কিচ্ছা কাহিনী শুনা যাচ্ছিল আজ সে সব কথা অতীত কথন। (৩) ভিআর বা ভার্চুয়াল রিয়েলিটিঃ বেশ কয়েক বছর আগে এক বাণিজ্য মেলায় একটা কাভারড ভেনে প্রথম ভিআর এর অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার তখন এতটাই অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম যে তা আর বলার নয়, কেমন করে তবলা, ড্রাম, ট্রাম্পেট গুলো তাদের স্থান থেকে বাস্তব থ্রিডি’র মত কাছে এসে বাজনা শুনায়ে গেল। তা অদ্ভুত অনুভূতির সৃষ্টি করেছিল। এর পর মহাখালীর স্পোর্টস জোনে ১৫ মিনিটের থ্রিডি রাইড যেখানে চেয়ার সহ ঘটনার সাথে সাথে মুভ করে দেখেও মারাত্মক বিস্মিত হয়েছিলাম আর এই ভারচুয়াল রিয়ালিটির উপর এখন কত রকম যন্ত্রপাতির সমারহ তার খোজ খবরও আমাদের অতটা জানা নাই কিন্তু এটা এখন স্বাভাবিক বাস্তবতা। (৪) এগুমেনটেড রিয়ালিটিঃ মোবাইলে একটা এ্যাপ ডাউন লোড করে একটা কার্ড ধরবেন এর ক্যামেরার সামনে ওটা হাতি বা ঘোড়া যাই হোক মোবাইল তার থ্রিডি এফেক্ট তৈরি হয়ে যাবে। হলোগ্রাম রিয়েলিটি যদিও এখনো সর্বসাধারণের কাছে আসার বাকি তার পরও এগুমেনটেড রিয়েলিটিও কম যায় না। (৫) আইওটি বা ইন্টারনেট অব থিংসঃ প্রতিটি বস্তুই কম বেশি আজ ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত। আমার বাসার সদর দরজার সিসি টিভি ক্যমেরাটি আমি বিদেশ থেকেও নিয়ন্ত্রণ করারা ক্ষমতা রাখি। কেবল মাত্র ইন্টার নেটে যুক্ত করে দেন তার পর আপনি দুনিয়ার যেখানেই যান না কেন ওটার নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতের মুঠায় থাকবে। (৬) ব্লক চেইনঃ আমাদের জীবনেই এক বিপ্লব ঘটে গেছে, ৮০’র দশক থেকে মিলিনিয়াম হয়ে ২০২০ এর মধ্যেই ঘটে গেছ তৃতীয় শিল্প বিপ্লব বা ইন্টারনেট বিপ্লব। “ব্লক-চেইন শুধুমাত্র অর্থনৈতিক কিংবা ব্যবসায়িক খাত নয়। বরঞ্চ পরিবর্তন করতে চলেছে  সম্পূর্ণ পৃথিবীকে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, রাষ্ট্রীয় এমনকি বিশ্বায়নেও বিশাল ভূমিকা রাখতে চলেছে এই প্রযুক্তি। ইতিহাস সাক্ষী দেয়, প্রতিটি যুগান্তকারী প্রযুক্তির আগমনের সাথে সাথে সমাজ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে আইনকানুন পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়ে যায়। মানুষের সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধেরও পরিবর্তন আসে। পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ, কিন্তু জ্ঞানীর কাজ পরিবর্তনকে কাজে লাগিয়ে অগ্রযাত্রা শুরু করা। তাই আগামী দিনের এই প্রযুক্তিকে জানা এবং কাজে লাগাবার সময় এখনই।”ব্লক চেইন আগামীর প্রযুক্তি –তানিম সুফিয়ানীর বই এর অধ্যায়-৬ এর শেষ প্যারাগ্রাফ। এই প্রসঙ্গে আমার বক্তব্য হলো তৃতীয় পক্ষ বিহীন অর্থনৈতিক লেনদেন বর্তমান রাষ্ট্র ব্যবস্থাগুলো প্রতিহত করার চ্ষ্টো করবে কিন্তু নতুন প্রযুক্তি সব সময় সকল প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করেই অগ্রসর হয়ে আসছে এযাবৎ কাল। (৭) রোবোটিক্সঃ রোবোট হ্যান্ড সহ নানা সয়ংক্রিয় রবোটিক যন্ত্রপাতির আবিষ্কার মানুষের জীবনকে আরো সহজতর করবে তাই এর সম্পর্কে আগে থেকে জেনে রাখা দরকার বালে আমি মনে করি। (৮) ড্রোনঃ শুধু যুদ্ধক্ষেত্রে নয় বাচ্চাদের খেলনা থেকে শুরু করে প্রডাক্ট ডেলিভারি পর্যন্ত ড্রোনের ব্যবহার ইতোমধ্যেই উন্নত বিশ্বে শুরু হয়ে গেছে। আমাদের দেশে অচিরেই তার দেখা পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। (৯) সাইবার্গঃ যারা নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য দেহেরে সাথে যে সব যন্ত্র সংযুক্ত করছে তা চশমাই হোক, হেয়ারিং এইডই হোক কিংবা অত্যাধুনিক চশমাই হোক তাকে সাধারণের থেকে পৃথক করে দিচ্ছে। ভবিষ্যতে স্মার্ট চিপ সহ মানুষের আবির্ভাব হতেই পারে যারা সর্বদা ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকবে। (১০) অজর মানুষঃ অমর তো হতে পারবে না তাই অজর মানুষের আবির্ভাব হবে যারা কোন রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হবে না এবং এইজিং বা বুড়িয়ে যাওয়াকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। (১১) চালক বিহীন গাড়িঃ ইতোমধ্যেই হাইব্রিড গাড়ি চলে আসছে, গুগল চালক বিহীন গাড়ির সফল পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে। সময় আসছে যখন গাড়ি তার নিজের হিসাব মতই চলবে। (১২) …… এ রকম আর কত কি যে আসছে অদূর ভবিষ্যতে যার কথা হয়ত এখন আমরা কল্পনাই করতে পারছি না। 

পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নেয়া এবং ডিজিটাল বিভক্তি
এটা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত যে প্রত্যেকেই পরিবর্তন প্রক্রিয়ার সাথে মানিয়ে চলতে পারেনি, অনেকে পিছনে পড়ে গিয়ে বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছেন এবং কেউ কেউ সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়েছেন, কিছু হয়তো অন্যদের সহায়তায় বেঁচে গিয়েছেন। আর কিছু স্মার্ট তরুণ আছেন, যারা সময়ের সাথে এগিয়ে যাচ্ছেন। এটি কি মানবিক মনের বিবর্তিত রূপ নয়? আমি বিশ্বাস করি যে প্রতিটি প্রজন্মই পূর্বে প্রচলিত কাস্ট এবং সংস্কৃতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনে এবং এই পরিবর্তন সেই বিশেষ প্রজন্মকে তাদের উন্নততর জীবনযাপন করতে সহায়তা করে। জীবনধারার পরিবর্তনও এই প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন গুলো থেকেই আসে। আমি বিশ্বাস করি যে প্রাযুক্তিক উন্নয়ন প্রমাণ করে যে মানুষের মন উদ্ভাবনী শক্তি সম্পন্ন। বুদ্ধি হ'ল মানুষ নিজেই, এটি বাস্তবতা উপলব্ধি করে এবং পূর্বে অর্জিত জ্ঞান থেকে আরও বিকশিত হয়। প্রতিটি সম্ভাব্য পরিবর্তনে বয়স্করা এড়াতে চেষ্টা করে, নতুন প্রজন্ম মেনে নেওয়ার চেষ্টা করে, এই মিথস্ক্রিয়া স্বাভাবিক এবং যথারীতি। আমরা এখন জানি যে নতুনরা সবসময় শেষ পর্যন্ত জয়ী হবেই। প্রথম যখন গাড়ি আবিষ্কার হয়েছিল তখন তা ঘণ্টায় ৮ কিঃমিঃ গতিতে আগাত, পত্রিকায় কৌতুক বের হয়েছিল যে, বহু বছর গবেষণার পর একটি যন্ত্র মানুষের হাটার গতি অর্জন করেছে। আজ গাড়ির গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০০ কিঃমিঃ এর কাছাকাছি। রাইটস ব্রাদার্স যখন বিমান আবিষ্কার করে তখন তা ২৫ ফুট উচ্চতায় ২০ মিনিট উড়তে পারতো আর আজকের কথা বলাই বাহুল্য। পরিবর্তনকে মেনে নেওয়া সবসময়ই ভালো নয়তো আপনি এই দ্রুত ধাবমান অগ্রযাত্রা থেকে বাদ পড়ে বিস্মৃত হয়ে যাবেন।
 

আপডেট হিস্ট্রিঃ 11dec2018> Translated into Bangla on 7nov2022> ১৯ফেব্রুয়ারী২০২৩> ২৮ফেব্রুয়ারী২০২৩>

No comments:

Post a Comment