আমার ছাত্র জীবনে তিনটি ভিন্ন কোর্সের পাবলিক পরীক্ষায় অর্থনীতি নিয়ে পরীক্ষা দিয়ে কৃতকার্য হয়েছি। আমার পাঠ্য ছিল অর্থনীতি কিন্তু ২০১৩ সালে সোনালী ব্যাংক পিএলসি’র মাদ্রাসা বোর্ড শাখা, বিএমইবি তে কর্মরত থাকা অবস্থায় যখন মজিদ ভাই এর কাছে শুনলাম “ইকনমি যখন ফ্লাই করে” ফ্রেজটা তখন মনে একটা ধাক্কা দিয়েছিল। ইকনমিও ফ্লাই করে? দারুণ মজা লেগেছিল কথাটা শুনে। এরকম চিন্তা তো আগে করি নাই কিংবা পাঠ্য থাকার সময় তো এই কথাটা কানে আসে নাই। হ্যাঁ ইকনমি অবশ্যই ফ্লাই করে যখন দেশের অর্থনীতি উত্তর উত্তর উন্নতি করতে থাকে আর পার কেপিটা কিংবা জিডিপি যখন বাড়তে থাকে তখন সোশ্যাল এসকেলেশন চোখে পড়ে আর ওটাই ইকনমির ফ্লাই করা।
মা বলতেন তারা যখন ছাত্রী ছিলেন তখন দেখতেন রিকশাওয়ালাদের পায়ে স্যান্ডেল নাই আর তারা ছিঁড়া সেন্ড গেঞ্জি পড়ে রিক্সা চালাতেন, এখন কিন্তু ওরকম দেখা যায় না, সবার পায়েই স্যান্ডেল আর জামা কাপড়ও বেশ ভালো। তার মানে এতদিনে দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থায় পরিবর্তন এসেছে। আমাদের শ্যাওড়াপাড়ার বাসাটা যখন একদিক চারতলা হয়ে গেছে তখন এক ফটোগ্রাফার এসেছিলেন ছাদের উপর থেকে পাশের টিনের বাড়িঘরগুলোর ছবি তুলতে। এখন সেখানে কোন টিন শেড সেমি পাকা ঘরই চোখে পড়বে না, সব সাত আট তলা এপার্টমেন্ট ভবন নির্মিত হয়ে গেছে। সিদ্ধেশ্বরীর যে এপার্টমেন্টে এখন আমি ভাড়া থাকি তা নয় তলা আর আশপাশের এপার্টমেন্ট গুলো ১২ কি ১৫ তলা হয়ে গেছে অথচ আমার ছোট বেলায় দেখা এই এলাকায় টিনের ঘরে লোকজন বসবাস করতেন। তার পর এলো চারতলা দালান বাড়ির সমারহ। আমার নানার টিনের দোতলা বাড়ি ছিল ২৭০ মালিবাগে, তিনি জীবনে কার কাছ থেকে ঋণ করে নি আর কাউকে ধারও দেয়নি, তাই হাউজ বিল্ডিং লোন নিয়ে যখন অনেকেই চারপাশে চারতলা বাড়ি বানাচ্ছে তখনও মালিবাগের আমার নানা বাড়ি সেই পাকিস্তান আমলে কেনা তা ওই রকমই রয়ে গিয়েছিল। আজ রাজধানীর বড় রাস্তায় যে ঝকঝকে ঝাঁকে ঝাঁকে গাড়ির সমারহ আগে তা ছিল না। ৫ মিনিট পর পর দু একটা মটরগাড়ি চোখে পড়তো আমার ছোট বেলায়। মিরপুর ১০ নম্বর টা আমার কাছে তখন মফস্বল শহর বলে মনে হতো। আর আজ সেখানে গাড়ির যানজটের ভয়ে যাওয়াই হয় কম। তার উপর ঢাকা শহরে মেট্রোরেল তো দারুণ একটা ব্যাপার হয়ে গেল। ফার্মগেট থেকে মিরপুর ১০ এর সোজা রাস্তা আমার চোখের সামনে এরশাদ আমলে মাটি ভরাট হওয়ার পর ব্রিক সোলিং ও পরে পিচ ঢালা হলো এখন তার উপর দিয়ে মেট্রোরেল, তাজ্জব ব্যাপার এর পুরটার সাক্ষী আমি, আমি এর সবগুলো পর্যায় পায়ে হেটে অনুভব করেছি। আমার অনার্স পরীক্ষার সময় পড়াশুনায় যখন মাথা ধরে যেত তখন শ্যাওড়াপাড়া থেকে ওই ব্রিক সোলিং রাস্তা ধরে হেটে শ্যাওড়াপাড়া থেকে কাজিপাড়া যেয়ে বাটার কাপ নামের দোকানের সামুচা খেয়ে আবার বাসায় ফিরে আসতাম।
ফার্মগেট ছিল আমার ছাত্র জীবনের একটা ট্রানজিট পয়েন্ট। ফার্মগেটের মেট্রোরেল স্টেশনটা দেখলে সে সময়কার কথা মনে পড়ে যায়। কি ছিল এই ফার্মগেট আর আজ তার কত বিবর্তন বা পরিবর্তন। এই মেট্রোরেল হওয়ার সময়টায় রাস্তাঘাটের যে দুর্গতি তা পার হয়ে অতিরিক্ত কষ্ট সহ্য করে শ্যাওড়াপাড়া টু মতিঝিল অফিস করেছি ৪ বছর আর যখন এটা বাস্তবে চলে আসলো তখন আমি থাকি সিদ্ধেশ্বরীতে। যাই হোক, দারুণ লাগে মেট্রোরেলে করে মাত্র ২০ থেকে ২৫ মিনিটে মতিঝিল থেকে শ্যাওড়াপাড়া যেতে। ইফতারের সময়ের আগ দিয়ে লোক জনের ঠাসাঠাসির মধ্যেও দেখি সবার মুখে হাসি। ফুল প্যাক্ট দেখে দু দু টা ট্রেন মিস দিয়েও তৃতীয় টেনে আমি ইফতারের আগে গন্তব্যে পৌছাতে পেরেছিলাম একদিন। এর চেয়ে অভাবনীয় ঘটনা আর কি হতে পারে ঢাকাবাসীর জন্য?
ঢাকার প্রথম ফুট ওভার ব্রিজ ফার্মগেটের, তার কি দারুণ রিনোভেশন। ফার্মগেট আমার জন্য একটা বিশাল ব্যাপার। আমি বড় হয়েছি এই ফার্মগেটের পরিবর্তন দেখতে দেখতে। যখন প্রথম ফুট ওভার ব্রিজটা হয় তখন ওটাতে রাজ্জাক - কবরী অভিনীত সিনেমায় গান শুটিং হয়েছিল “ঢাকা শহর দেইখা আমার আশা পুরাইল”। সেই ফুট ওভার ব্রিজ থেকে তোলা এখনকার ফার্মগেট, ছবি গুলো না তুলে পারলাম না। এই অভাবনীয় পরিবর্তন এর সাক্ষী আমি, আমি বুঝি এর মূল্য কত।
ঢাকার এতটা অভিনব পরিবর্তন দেখতে হবে কখন চিন্তাই করি নাই। ফার্মগেটের যে রাস্তা হতে তালতলা গামী হলার কিংবা টেম্পুতে উঠতাম সেখানে এখন মেট্রোরেল স্টেশনে উঠার এস্কেলেটর বা চলন্ত সিঁড়ি। কোথায় গেল সেই হলার আর টেম্পু গুলা?
সম্প্রতি প্রচারিত দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যর বক্তব্য শুনে বুঝলাম মেগা প্রজেক্টগুলো বাস্তবায়িত হওয়ার পর অর্থনীতিতে যে শু প্রভাব পড়ার কথা তা চোখে পড়ছে না তার কারণ কিছু অতি চতুর স্বার্থপর লোকজন সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ক্যানাডায় তাদের সম্রায্য নির্মাণে এদেশের খেটে খাওয়া মানুষগুলোর ঘাম ঝাড়ান উপার্যন চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে সবার অগোচরে। এই দুষ্ট লোকগুলো মুখোশ পরা, সাধারণ জনগণ চেনে না। কিন্তু দুদক কি করছে? ওই চতুর লোকগুলোকে ধরে জনসম্মুখে শাস্তি দিতে পারে না? এটা ব্যাংক ব্যবসার শুভঙ্করের ফাঁকি যারা বোঝে তারাই কেবল বুঝতে পারবে, সাধারণের জ্ঞানের বাইরে। সরকারের উচিত এই লোকগুলোকে সুযোগ না দেয়া। সরকার সব জানে আর তারা এই দুষ্ট কিন্তু প্রভাবশালী লোকগুলোকে প্রশ্রয় দেয়। ১৬ কোটি মানুষের খাটনির কথা কেউ চিন্তাই যেন করে না।
আমার অতি প্রিয় মোহাম্মদ এ. মজিদ, এজিএম, বর্তমানে সোনালী ব্যাংক পিএলসি’র (গুলশান নিউ নর্থ শাখার শাখার ম্যানেজার) এর মন্তব্য ”অভিবাসন একটি চলমান প্রক্রিয়া। আদিকাল থেকে মানুষ প্রাকৃতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক নানা কারণে পৃথিবীর এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গিয়ে বসতি গড়ছে। উন্নত জীবনের আশায় মানুষ অভিগমন করে। আর যারা স্থায়ীভাবে দেশ ছাড়ে তাদের সম্পদ নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা তারা করবে। এছাড়া সাধারণত যাদের ন্যূনতম আর্থিক সক্ষমতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও চোখ কান খোলা রয়েছে তারাই অভিগমন করে। গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে যেহেতু এই শ্রেণির মানুষের সংখ্যা দ্রুত ক্রমবর্ধমান এবং যেহেতু অভিবাসনের কারণসমূহ অনেক বেশি করে বিদ্যমান রয়েছে বিশেষ করে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা তাই আমার মনে হয় এখানে এই প্রক্রিয়া আরও অনেক দিন ব্যাপক ভাবেই চলবে। আমাদের উচিত অনিশ্চয়তা সমূহ দূর করার দিকে মনোনিবেশ করা। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি। আপনাকে ধন্যবাদ।” মজিদ ভাই যা বলেছেন ঠিক সে কথাটাই আমার লন্ডন প্রবাসী স্কুল ফ্রেন্ড ডা. তামালও বলেছিল যখন আমি দেশে ছেড়ে চলে যাওয়া মেধাবী বন্ধুগুলোর দেশের প্রতি মমতা না থাকার কথা তুলে বিতর্কের ঝড় তুলেছিলাম হোয়াটস এ্যাপ গ্রুপে। অভিবাসন তো স্বাভাবিক ব্যাপার তা মানতেই হচ্ছে কিন্তু দেশে যারা আটকা পড়ে যাচ্ছে, যেমন আমরা, আমাদের তবে কি হবে। আমরা সহায় সম্পদ ও পরিবার, সন্তান নিয়ে তো এই দেশেই থাকছি, আমাদের ভবিষ্যতটা তবে কি হবে? হয় এই পরিস্থিতির পরিবর্তনে সক্রিয় অংশ নিতে হবে না হলে পরিস্থিতির স্বীকারে পরিণত হতে হবে।
মজিদ ভাই এর মন্তব্য আর দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের ভাষণ শুনে যা বুঝলাম যে, দেশের ভবিষ্যৎ কে মর্টগেজ করে সরকার মেগা প্রজেক্ট গুলো হাতে নিয়ে একটা বড় ধরনের রিস্ক নিয়েছে। শ্রীলংকাও তার পর্যটন বাণিজ্যর উপর ভরসা করে বা ভবিষ্যৎ প্রজেকশন করে এরকম বহু মেগা প্রজেক্ট হতে নিয়ে যখন করনা এলো তখন তাদের পুর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ভেস্তে গেল ও বিপদে পড়লো। আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ কি হতে পারে তা নিয়ে অনেকে অনেক মতামত দিতে পারেন তবে আমার মনে হয়, এদেশের মানুষ কষ্টসহিষ্ণু আর কর্মঠ। তরুণ প্রজন্ম যথেষ্ট কর্ম উদ্যোগী ও মেধাবী। তাতে বলা যায় ভবিষ্যৎ প্রজেকশন রিস্কি হলেও তা বাস্তবায়ন সম্ভব। সাহসী পদক্ষেপ না নিলে অগ্র গমন হবে কি করে। নো রিস্ক নো গেইন সূত্রটা আমাদের জন্য কাজে আসতে পারে বলে আমার মনে হয়। পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, এক্সপ্রেস হাইওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, দেশ জোড়া রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন, মাতার বাড়ি ডিপ সি-পোর্ট, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে ও অনেকগুলো ইতোমধ্যেই হয়ে গেছে। এগুলো সবই একটা দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসূ প্রজেক্ট তা শিক্ষিত কিংবা স্বল্প শিক্ষিত সকলেই বুঝবেন।
আমি যেটুকু বুঝি মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে সরকার যদি হস্তক্ষেপ করে যার মানে হলো, বাজার দরের উপর স্লেব নির্ধারণ করে দেয়, কিংবা বাড়ি ভাড়ার উপর, কিংবা সিএনজি ভাড়ার উপর নিদিষ্ট হার নির্ধারণ করে দেয় তখন তা আর মুক্ত বাজার থাকে না। ফ্রি-ইকনমি থেকে তা কমান্ড ইকনমি কিংবা মিক্সড ইকনমিতে চলে যায়। কমান্ড ইকনমিতে কতগুলো অসুবিধা হয়, জনগণ মানতে না চাইলে তাকে জোর করে মানাতে হয়। যেমন ধরুন সিএনজি ট্যাক্সির ভাড়ার মিটার নির্ধারণ করা সত্যেও তারা কিন্তু তাতে ভাড়া চালায় না। মিটার টা অন করে গ্রাহকের সাথে দরদামে যা বনে তাতেই চলে। এর মানে হলো তা কার্যকর করা যায়নি। বাড়ি ভাড়ার উপর স্লেব বসালেও সেটা কেউ মানবে না বলেই আমার ধারণা। সিন্ডিকেশনের ধুয়া তুলে সরকার ও জনগণ যে সরকারী হস্তক্ষেপ চাইছে তাতে করে দেশে মুক্ত বাজার অর্থনীতি থেকে কমান্ড ইকনমি কিংবা মিক্সড ইকনমির দেকে চলে যাচ্ছে। আমার নিজস্ব মত হলো মুক্ত বাজারকে পুরোপুরি মুক্ত থাকতে দেয়া উচিত। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের টিসিবি তো আছেই তা হলে কেন সরকার বাজারে হস্তক্ষেপ করবে। মুক্তবাজারে সিন্ডিকেশন বেশিদিন কাজ করতে পারে না, সাময়িক মনোপলি কিংবা অলিগোপলি হতে পারে কিন্তু সময়ে তা আবার ভারসাম্যে চলে আসার কথা। আমার মতে ম্যাক্রো ইকোনমিক ইনডেক্সগুলোতে কতগুলো বড় বড় ফ্যাক্টর কাজ করছে যেমন ডলার ক্রাইসিস, দুর্বল ব্যাংকগুলোর সাথে সবল ব্যাংক গুলোর মার্জার, ইত্যাদি কিন্তু মাইক্রো ইকনমিতে দ্রব্যমূল্যের মূল্য বৃদ্ধিতে সিন্ডিকেশনটা আমার কেন জানি ভুয়া মনে হয়। ম্যাক্রো ইকনমির প্রভাবক গুলোর কারণে মাইক্রো ইকনমিতে বিশাল কোন প্রভাব পরেছে বলে মনে হচ্ছে না, বাজারে পণ্য আছে, প্রচুর বিক্রেতা আছে সাথে সাথে প্রচুর ক্রেতাও আছে। মানুষের পারচেজিং পাওয়ার ক্রান্তি সীমায় পৌঁছালেও তা অতিক্রম করে বিপদ সীমায় যায় নাই। যদি তাই হতো তা হলে আমরা এর প্রভাবে রাস্তায় নেমে আসা প্রতিবাদ রত মানুষ জন দেখতে পেতাম। বিরোধী দলের প্রচার পত্র বিলি করা সত্যেও জনগণ রাস্তায় নামছে না কেন তা এক বিশাল বিশ্বয়। এটা এই কথাই বলে যে মানুষ কষ্টে আছে বটে কিন্তু কষ্টটা তারা সহ্য করে নিতে পারছে কোন না কোন ভাবে।
আমার আরেক প্রিয় মানুষ সোনালী ব্যাংক পিএলসি’র ডিজিএম তানজিম স্যার একবার জিজ্ঞাসা করেছিলেন আমার অর্থনীতির উপর কোন লেখা আছে কিনা। বলতে হয়েছিল নাই, এটাই আমার অর্থনীতির উপর প্রথম লেখা। আমি যা বুঝি তাই লিখেছি। অর্থনীতিতে বিদগ্ধ জনেরা আরো ভালো বিশ্লেষণ করতে পারবেন। আমার মতে দেশের অর্থনীতি টাল মাটাল হলেও এখনও একটা ভারসাম্যের মধ্যে দিয়েই চলছে। যার মানে হলো আমি কোন এলার্মিং পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছি না।
সম্পাদনা ও উন্নয়কালঃ ৫এপ্রিল২০২৪> ২৭এপ্রিল২০২৪> ২মে২০২৪>
আমার কাছে অনেকের প্রশ্ন
https://surzil.blogspot.com/2024/02/blog-post_28.html
ব্লগ লিংকঃ https://surzil.blogspot.com
ফেইসবুক প্রফাইলঃ https://www.facebook.com/mustafa.surzil.rawnak